তিন লাল কার্ডের ম্যাচে আবাহনীকে আবার হারালো কিংস

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ১০ জনের বসুন্ধরা কিংসকে হারাতে পারেনি আবাহনী লিমিটেড। আজ শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগে ফিরতি পর্বেও হেরেছে মারুফুল হকের দল। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জোড়া গোলে কিংস ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনীকে।

প্রথম পর্বের দেখায় সুমন রেজার একমাত্র গোলে জিতেছিল আবাহনী। সে হারের মধুর প্রতিশোধও ফিরতি লেগের দেখায় নিয়ে নিলো কিংস। 

মোহামেডান ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার পথে আরও এগিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনী (২৭) এই হারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে। কিংস তৃতীয় স্থানে আছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে। 

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর ম্যাচ হয়েছে। ১১ মিনিটে কিংসের একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একাই গোল দেওয়ার চেষ্টা করেন রিমন হোসেন, বল চলে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। 

আবাহনীকে আবার হারালো কিংস

পাঁচ মিনিট পর রাকিবের কাছ থেকে ফিরতি পাস ধরে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। নিজের সাবেক ক্লাব আবাহনীর বিপক্ষে গোলের উদযাপন তিনি সারেন আকাশি-নীল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে। 

২৬ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে সুমনের হেড অল্পের জন্য যায় পোস্টের বাইরে। তাতে বিরতির আগে প্রথম ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় আবাহনীর। 

একটু পর ভালো জায়গায় বল পেয়েও মোহাম্মদ হৃদয়ের চ্যালেঞ্জে তালগোল পাকিয়ে জনি বল হারালে কিংসের ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ নষ্ট হয়। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। রাকিবের পাস ধরে দারুণ কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। গোলরক্ষক মিতুল মারমা ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি। এরপর কিংসের খেলায় গতি কমে। 

৮১মিনিটে বাইলাইনের উপর থেকে ফাহিমের পাস ধরে উড়িয়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের হতাশায় মুখ ঢাকেন ইনসান আলি। এর ছয় মিনিট পর ইভান্স ইত্তির প্লেসিং শট পোস্টে প্রতিহত হলে ব্যবধান আর বাড়িয়ে নিতে পারেনি কিংস। 

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলমুখ থেকে আরমান ফয়সাল আকাশ গোলকিপারকে একা পেয়েও তাড়াহুড়ো করে উড়িয়ে মারলে ব্যবধান কমানো গোলের দেখাও পায়নি আবাহনী। 

শেষ সময়ে সোহেল রানা ও আসাদুল মোল্লার মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হওয়া সংঘর্ষের উত্তাপে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে জড়ায় দুই পক্ষ। রেফারি দ্রুত এসে শান্ত করেন পরিস্থিতি। ওই ঘটনায় কিংসের সোহেল, সাদউদ্দিন ও আবাহনীর শাহিন আহমেদকে দেখান লাল কার্ড। মিনিট পাচেঁক পর খেলা শুরুর পরপরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ডাগ আউটে দুই দলের সবাই ফের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।