লিড নিয়েও ফ্লামেঙ্গোর কাছে হার চেলসির

ফিলাডেলফিয়ায় চেলসি শুরুতেই লিড নেয়। সব ঠিকঠাক ছিল। বিরতির পর এলোমেলো। তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল হজম করে। তারপর একজন কম নিয়ে খেলে আরেকটি! ৩-১ গোলে ক্লাব বিশ্বকাপে হার দেখলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব।

টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় জয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব উঠে গেছে শেষ ষোলোতে। এদিকে ইএস তিউনিসের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস এফসি।

১৩তম মিনিটে পেদ্রো নেতো চেলসিকে এগিয়ে দেন। লিড বাড়ানোর আরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তারই খেসারত দিতে হয়েছে শেষ অর্ধে।

মঙ্গলবার তিউনিসের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে চেলসি। বিজয়ী দল যাবে নকআউটে। দুই দলের সমান ৩ পয়েন্ট। গোল ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে ব্লুরা।

শুরুতে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে ফ্লামেঙ্গো। চেলসি কিপার রবার্ট সানচেজ রুখে দেন লুইজ আরাউজো, জর্জিয়ান দে আরাসকায়েতা ও আইরটন লুকাসকে। তাদের ফুলব্যাক ওয়েসলি বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তাতে বল পেয়ে জাল কাঁপান নেতো। 

ওই গোলের পর চেলসি আধিপত্য দেখায়। বল পায়ে রাখার পাশাপাশি আরও সুযোগ তৈরি করে। মালো গুস্তো ও লিয়াম দালেপকে ঠেকান ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কিপার অগাস্টিন রসি।

বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় ফ্লামেঙ্গো। বদলি নেমে ছাপ রাখেন হেনরিক। ৬২ মিনিটে গারসনের ক্রসে গঞ্জালো প্লাতা দূরের পোস্টের সামনে থেকে হেড করলে তিনি সহজে জালে বল জড়িয়ে দেন।

তিন মিনিট পর ফ্লামেঙ্গো কর্নার থেকে লিড নেয়। হেনরিকের লাফিয়ে নেওয়া হেডে দানিলো স্কোর ২-১ করেন।

চেলসি বিপদে পড়ে ৬৮ মিনিটে ১০ জনের হয়ে পড়লে। বেঞ্চ থেকে উঠে আসার কিছুক্ষণ পর লাল কার্ড দেখেন তিনি আইরটন লুকাসকে ফাউল করে।

ফ্লামেঙ্গো আরও ব্যবধান বাড়ায় আরেক বদলি খেলোয়াড় ইয়ানের গোলে। প্লাতার ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।