‘দোহাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেকেই আতঙ্কিত ও ভয় পেয়ে যায়’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের রেশ অনুমতিভাবেই মধ্য প্রাচ্যের অন্য দেশেও ছড়িয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি যেসব অঞ্চলে রয়েছে। এই যেমন কাতারের রাজধানী দোহায় সোমবার একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইরান। ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে তারা। এমন হামলায় কাতারের জনগণের সঙ্গে সেখানে থাকা বাংলাদেশিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

দোহার আল ঘারাফায় থাকেন বাংলাদেশের প্রবাসী ফুটবলার ওবায়দুর রহমান নবাব। ২০২১ সালে এই মিডফিল্ডারের লাল সবুজ দলে জায়গা হয়েছিল। বাবা- মাসহ পুরো পরিবার নিয়েই দোহায় বসবাস তাদের। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা নবাব দোহায় বোমা হামলার সময় নিজের অভিজ্ঞতা বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন। 

দোহার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময় নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ছিলেন নবাব। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনে অন্যদের মতো বাইরে বের হয়ে আসেন তিনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পান ক্ষেপণাস্ত্র। নবাব বলছিলেন,‘আমি নিজে একজন পেশাদার ফুটবলার। এখন আমাদের অফ সিজন চলছে। আমাদের পারিবারিক লন্ড্রির ব্যবসা রয়েছে। তখন সেখানে ছিলাম। একসময়  প্রচণ্ড শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য। তবে আমরা সবাই ভাগ্যবান যে, আমাদের কিছু হয়নি। কাতারের অন্য নাগরিক কিংবা প্রবাসীদের কিছু হয়েছে বলে শুনিনি। আমাদের বাসা থেকে অবশ্য আমেরিকার মিলিটারি ঘাটি ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে।’

আগে থেকে ধারণা করা হয়েছিল ইরান মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালাতে পারে। নবাবসহ অনেকেই সেই ধারণা পোষণ করেছিন। তাই অনেকটাই আতঙ্কে ছিলেন সবাই। নবাব দোহা থেকে বলেছেন, ‘ইরানের হামলায় অনেকেই আতঙ্কিত ও ভয় পেয়ে যায়। কখন কী হয়, হয়তো এই কারণে।’

তবে আশার কথা এরপর আর কাতারে কোনও হামলার কথা শোনা যায়নি। এ সময় ওবায়দুর রহমান নবাব লাল সবুজ দলের জার্সিতে খেলার স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন। ২০২১ সালে ঢাকায় ক্যাম্পে থেকেও সেভাবে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাতে অবশ্য ভেঙে পড়েননি। সামনের দিকে বাংলাদেশের হয়ে আবারও খেলার ইচ্ছে তার,'‘আমি এখন লুসাইল এফসিতে খেলছি। অবশ্যই আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই।’