নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মিয়ানমার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও তারা (৫৫) বাংলাদেশের (১২৮) থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু আজ বুধবার মাঠের লড়াইয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লাল-সবুজ দল চোখে চোখ রেখে খেলছে। ঋতুপর্ণা চাকমার অসাধারণ এক গোলে মিয়ানমারের বিপক্ষে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ইয়াংগুনে শুরুর দিকে স্বাগতিকরা ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে। কিক অফের শুরুতে ভয় ধরায় মিয়ানমার। ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে শি ইয়ে তুনের ডান পায়ের সাইড ভলি ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেছে। ৬ মিনিটে মনিকা চেষ্টা করলেও তার ক্রস সরাসরি গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে।
১৮ মিনিটে ধারার বিপরীতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহারকে ফেলে দিলে ডি বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় বাটলারের দল। ঋতুপর্ণার শট মানব দেয়ালের নিচে লেগে ফিরে আসলে বক্সের ঠিক বাইরে আবার বল পেয়ে রাঙামাটির ফুটবলার বাঁ পায়ের মাপা শটে ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠে।
২৪ মিনিটে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যেতে পারতো। ঋতুপর্ণার ক্রসে তেকাঠির একদম সামনে থেকে ফাঁকায় শামুসন্নাহার প্লেসিং করলেও পোস্টে লেগে বলের দিক পরিবর্তন হলে আফসোস বাড়ে তাতে।
৩৭ মিনিটে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। গোলকিপার রুপনা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। ভাগ্য ভালো তেকাঠির নিচে যাওয়ার আগেই মিয়ানমারের ১০ নম্বর জার্সিধারী কিন মো মোর লক্ষ্যে নেওয়া শট জালে জড়াতে পারেনি। চলে যায় বাইরে দিয়ে।
৪২ মিনিটে স্বাগতিকদের দুর্ভাগ্য। কিন মো মোর আরও একটি জোরালো শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। সামনে থাকা ন হোয়াইয়ের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশ হন স্বাগতিক দর্শকরা। শেষ দিকে মিয়ানমার চাপ দিয়েও গোল শোধ দিতে পারেনি।
বাংলাদেশের একাদশ : রুপনা চাকমা , আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, কোহাতি কিসকু, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রাণী, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার ও তহুরা খাতুন।