ঊষাকে রুখে দিয়েছে আবাহনী


_DSC5363গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তালিকার শীর্ষে থাকা ঊষাকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে আবাহনী। এ ড্রয়ের ফলে ১৪ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই থাকল উষা। ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী আছে তৃতীয় অবস্থানে। ১৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে মেরিনার্স আছে দ্বিতীয় স্থানে।

ম্যাচে প্রথমে রোম্মান সরকারের চমৎকার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী। লড়াকু মনোভাবে খেলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচায় উষা।

খেলার ১৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে ঊষার ডিফেন্স হানা দেন রোম্মান। সামনে ছিল ঊষার ডিফেন্স, কোনাকুনি এক দৌড়ে তিনি ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। স্টিকের মোচড়ে বিভ্রান্ত করেন গোলরক্ষক ও তার মার্কারকে, আর জোরালো রিভার্স হিটে বল আছড়ে ফেলেন বোর্ডে।

গোল হজম করার পর বেশ কিছুক্ষণ চাপ সৃষ্টি করে ঊষা। কিন্তু কাশিফ আলি, ফরহাদ আহমেদ শিটুল ও মেহেদি হাসানের সমন্বয়ে গড়া রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি তারা। উপরন্তু ২৪ মিনিটে শাফাকাত রাসুলের করা পাল্টা-আক্রমণে পোস্টের কয়েক ফুট দূর থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আবাহনী মিডফিল্ডার তানজিল আহমেদ।

ঊষাও প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেয়েছিল সমতা আনার সুযোগ। পাল্টা আক্রমণ থেকে ডান প্রান্তে চলে আসেন মিডিফিল্ডার নাইমুদ্দিন। নেন জোরালো একটি কোনাকুনি হিট। ফাঁকায় দাঁড়ানো পুষ্কর খিসা মিমো ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে পারেননি। শেষ মিনিটে ঊষা পেয়েছিল একটি পেনাল্টি কর্নার। কিন্তু আলিম বেলালের করা ড্র্যাগটি চমৎকার ভাবে গ্লাভস দিয়ে প্রতিহত করেন আবাহনী গোলরক্ষক অসীম গোপ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করে ঊষা। এবার আক্রমণের উৎস ছিলেন কৃষ্ণ কুমার, কোনাকুনি এক দৌড়ে বক্সে ঢুকে তিনি বল পুশ করেন পুষ্কর খিসা মিমোর উদ্দেশে। মিমো অসীম গোপের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারসাম্য হারান। ৫৭ মিনিটে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গিয়েছিলেন নাইমুদ্দিন, দেখেশুনে তিনি যে স্ল্যাপ হিটটি নেন তা সাইড পোস্টে শিষ দিয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কৃষ্ণ কুমার। পুষ্কর খিসা মিমোর জোরালো হিট পোস্টের খুব কাছ থেকে ভেতরে পুশ করতে ব্যর্থ হন কৃষ্ণ।

অবশেষে ৬৫ মিনিটে গোলের দেখা পায় ঊষা। কৃষ্ণ কুমার, সারোয়ার ও আলিম বেলালের কম্বিনেশনের ফসল হয় সমতাসূচক গোলটি। নতুন জীবন পায় ঊষা। শেষ মিনিটে একটি পেনাল্টি কর্নার কেন্দ্র করে খেলা পনের মিনিট বন্ধ থাকে। আবাহনী খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছাড়ে। পরে মাঠে ফিরলেও দশ সেকেন্ড পর বাঁজে খেলা শেষের বাঁশি।

/এমআর/