গেরহার্ডের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি হকি ফেডারেশন

indexজাতীয় হকি দলের সাবেক কোচ রাখ গেরহার্ড পিটারকে পূর্ণ বা খণ্ডকালীন কোচ করার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। গেরহার্ড পিটারকে ঘিরে সংবাদ মাধ্যমে নানামুখী খবর প্রচারিত হওয়ায় আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক বলেন, 'আমরা হকির উন্নয়নের জন্য একজন যোগ্য ও আধুনিক ধারণার কোচ খুঁজছি। এর ধারাবাহিকতায় রাখ গেরহার্ড পিটার তার বায়ো-ডাটা আমাদের কাছে দিয়েছে। আমার তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা নাইজেল বনেটের সাথে কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু গুলশানের ঘটনার পর তিনি আর যোগাযোগ রাখেননি। এদিকে আমাদের সামনে আগামী মাসে রয়েছে এএইচএফ অনূর্ধ্ব-১৮। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা রাখের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেবেন, তার সঙ্গে এর বেশি কিছু হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'খণ্ডকালীন হিসেবে আমাদের কাছে আরও কয়েকজন কোচের প্রস্তাব রয়েছে। আমরা আমাদের সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ মুনীরের নেতৃত্বে এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন আরেক সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ। আশা করছি রফিকুল ইসলাম কামাল ও মাহবুব এহসান রানার কমিটি এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবে।'

এ ব্যাপারে শফিউল্লাহ মুনীর বলেন, 'রাখের সঙ্গে আলোচনা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ওমানের সাবেক জার্মান কোচ অলিভার কুনজের সঙ্গেও যোগায়োগ করছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে তিনি ঢাকায় আসবেন। বর্তমানে তিনি ব্রাজিলে একটি কোচিং প্রোগ্রামে কাজ করছেন।'

জানা গেছে, রাখের সাথে খণ্ডকালীন কোচের চুক্তিটি প্রায় চূড়ান্তই ছিল। কিন্তু শোনা গেছে জার্মানিতে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জাতীয় দলের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের কাছ অর্থ নিয়েছেন রাখ। তিনি কিছুদিন আগে মেরিনার্সকে প্রিমিয়ার হকি লিগে চ্যাম্পিয়ন করান। কিন্তু রাখ ঢাকা মোহামডোনের কোচ হওয়ার ব্যাপারেও মুনীরের সঙ্গে আলোচনা করেন। মোহামেডানের হকি কমিটির সভাপতি হিসেবে মুনীর এটি মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া চার মাসের খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে যদি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তার চার মাসের বেতন শফিউল্লাহ মুনীর দেবেন তাই তার কথার ব্যতয় না ঘটার সম্ভাবনা বেশি।

/আরএম/এমআর/