বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অনুশীলন হয়নি জিমিদের

72cd34c946a21e39e9b6f33760e65fe3-59de33e6b0de7৩২ বছর পর ঢাকায় বসেছে এশিয়া কাপের দশম আসর। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এই আসরটি আয়োজক হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য হলেও গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দায়িত্বজ্ঞাণহীনতার কারণে আয়োজকদের বদনাম হতে যাচ্ছিলো। ভাগ্যিস অতিথি কোনও দল নয়, অপ্রীতিকর এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল বাংলাদেশের হকি দল।

শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারের অনুশীলনটা খুবই জরুরি ছিল। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অনুশীলনই করতে পারলেন না।

অনুশীলন না করতে পারার আক্ষেপটা লুকাতে পারলেন না কোচ মাহবুব হারুন, ‘অনুশীলন করতে পারলেও যে ভারতের বিপক্ষে ভালো করে ফেলব, সেটা কিন্তু নিশ্চিত না। এই মুহূর্তে আমাদের ভুলগুলো কাটিয়ে উঠাটাই জুরুরি। সেটা করতে পারলে ফলটা আগের চেয়ে ভালো করা সম্ভব।’

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জিমিরা অনুশীলনে এসেছিলেন মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে। কিন্তু সকাল থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুবিহীন ছিল হকি স্টেডিয়াম। বিদ্যুতের অভাবে টার্ফে পানি ছিটানো যায়নি। যার কারণে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নির্ধারিত সময়ে অনুশীলনে নামতে পারেননি।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অনুশীলনটা করতে না পারায় বড় মাশুলই হয়তো দিতে হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। এদিন অনুশীলন না করে কেবলমাত্র গা গরম করে বাংলাদেশ দল ফিরে গেছে হোটেলে। এরপর হোটেলে গিয়ে সাঁতার কাটেন জিমিরা।

দলের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সময়মতো অনুশীলনে এসেছিলাম, কিন্তু বিদ্যুতের জন্য টার্ফে পানি দিতে না পারায় অনুশীলন সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেছি। বিদ্যুত না আসায় আর অনুশীলন করা গেলো না।’

মাঠ ঠিকমতো তৈরি কিনা সেটা দেখভাল করার দায়িত্ব গ্রাউন্ড কমিটির। যদিও কমিটির চেয়ারম্যান হাজী মনোয়ার হোসেন দায়টা দিলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাঁধে, ‘পিডিবির সঙ্গে আমাদের কথা ছিল, টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে তারা। বুধবার রাতে তারা জানিয়েছিল অভ্যন্তরীণ ত্রুটির কারণে সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু তাদের দেওয়া সময়ের পর আরও আধা ঘণ্টা সময় বেশি লেগেছে। যার কারণে মোটর চালিয়ে যথা সময়ে মাঠ ভেজানো সম্ভব হয়নি।’

বাংলাদেশ অনুশীলন করতে না পারলেও ভারত ঠিকই ১১টা থেকে অনুশীলন করেছে। এক হিসেবে আয়োজকরা নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে। সমস্যাটা বাংলাদেশের অনুশীলনেই হয়েছে, অন্য কারো অনুশীলন ব্যাঘাত ঘটলে এই মুহূর্তে বিশ্ব হকিতে বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যেতে পারতো।