খেলা শেষ হতে না হতেই মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের গ্যালারি মুখর হয়ে ওঠে ভারতীয়দের উল্লাসে। স্বদেশের পতাকা নিয়ে ভিআইপি গ্যালারির সামনে জয়োৎসবে মেতে ওঠেন ভারতের সমর্থকরা। আগামী বছর ভুবনেশ্বরে বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ হকির আসর। স্বাগতিক হিসেবে এমনিতেই ভারত খেলবে হকির সেরা আসরে। এশিয়া কাপ জয় ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে তাদের অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে।
ফাইনালের শুরু থেকে ছিল ভারতের আধিপত্য। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় আটবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নরা। সুনীল সোমারপ্রিতের ডানপ্রান্ত থেকে বাড়ানো বলে রমনদীপ সিংয়ের পুশ বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে কানেক্ট করে বল জালে জড়িয়ে দেন রমনদীপ। মালয়েশিয়ার গোলকিপার সুব্রামানিয়াম কুমার কিছুই করতে পারেননি।
১৪ মিনিটে মালয়েশিয়া একটি পেনাল্টি কর্নার নষ্ট করার পর শুরু হয় ভারতের আক্রমণের ঢেউ। পেনাল্টি কর্নার থেকে হারমানপ্রীতের নেওয়া জোরাল হিট রুখে দেন গোলকিপার। এরপর আকাশদীপ সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। শুটিং সার্কেলের ভেতরে তার নেওয়া হিট ঠেকিয়ে মালয়েশিয়াকে আবার রক্ষা করেন সুব্রামানিয়াম।
তবে ২৯ মিনিটে কিছু করতে পারেননি মালয়েশিয়ার গোলকিপার। বাঁ প্রান্ত দিয়ে সুমিতের রিভার্স হিট থেকে ললিতের কানেক্টে স্কোরলাইন হয়ে যায় ২-০। ৪২ মিনিটে ললিতের হিট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৪৭ মিনিটে ফয়জাল সারির পেনাল্টি কর্নার থেকে নেওয়া জোরালো হিট সাইড বার ঘেঁষে বেরিয়ে হতাশ করে মালয়েশিয়াকে।
৫০ মিনিটে মালয়েশিয়া কমিয়ে আনে ব্যবধান। আরশাদ আমিরলের হিট ভারতের গোলকিপার ফেরানোর পর ফিরতি বলে শাহরিল সাবাহ কানেক্ট করেন (২-১)। এরপর সমতা ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে টুর্নামেন্টে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা মালয়েশিয়া। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে সৈয়দ সাইদের হিট ভারতের একজন ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। একদম শেষ মুহূর্তে ফয়জাল সারি সুযোগ নষ্ট করলে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মালয়েশিয়াকে।