হকিতে বদল আনতে অ্যাডহক কমিটির ৬ মাসের পরিকল্পনা!

হকির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি হওয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল হকি পাড়ায়। অবশেষে বর্ষীয়ান সংগঠক আব্দুস সাদেকের নেতৃত্বে ঘোষণা করা হলো এ কমিটি।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (২০ এ) (বি) ধারায় ৩১ সদস্যের এই অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাদেক। এনিয়ে তৃতীয়বার হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হলেন জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা। ১৯৮২ ও ২০১৫ সালের পর আবার তার হাতেই পড়লো বড় এ দায়িত্ব।

টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হয়ে আব্দুস সাদেক প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনকে এই বর্ষীয়ান সংগঠক বলেছেন, ‘আমি তৃতীয়বার মতো সাধারণ সম্পাদক হলাম। যখন হকির কেউ হাল ধরার থাকে না, তখন আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়। আমি শুরুতে চাইবো দ্রুত যেন দলবদল হয়। ঘরোয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে যেন গতিশীলতা আসে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’

গঠনতন্ত্রে সংশোধন নিয়ে কথা বললেন এই সংগঠক, ‘সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি চলে। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে তাই বিসিবি কিংবা বাফুফের মতো কমিটি করার লক্ষ্য আছে। হয় পরিচালক নির্ভর হকি, নয়তো বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক রেখে কমিটি হবে। এতে হকিতে দলাদলি-রেষারেষি কমে যাবে। এমন পথ বের করে আমি পদ ছেড়ে দিবো।’

সাদেকের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। এশিয়া কাপ ও বন্যার কারণে নতুন কমিটি গঠন করতে দেরী হচ্ছিল। নির্বাচন নাকি অ্যাডহক কমিটি, এ নিয়ে সংগঠকদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিলো ক্রীড়া পরিষদ।

নতুন কমিটিতে জায়গা হয়নি আগের কমিটিতে থাকা একাধিক সংগঠকের। শফিউল্লাহ আল মুনীর, আনভীর আদেল, কামরুল ইসলাম কিসমত, রফিকুল ইসলাম কামাল ও মামুনুর রশীদ সহ আরও কয়েকজন হারিয়েছেন জায়গা। তাদের জায়গায় নতুন কমিটিতে সুযোগ পেয়েছেন- মমিনুল হক সাঈদ, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, সাজেদ এ আদেল, মাহবুবুল এহসান রানা ও মাহবুব হারুনসহ একাধিক কর্মকর্তা।