হকি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নালিশ!

8-10হকিতে চাপান-উতোর চলছেই। অচলাবস্থার পর অ্যাডহক কমিটি হলেও এক মাস যেতে না যেতেই ঝামেলা শুরু হয়েছে। অ্যাডহক কমিটির সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (আইএইচএফ) কাছে ই-মেইল করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে মেইলটি করা হয়েছে সাবেক তারকা ও এশিয়া কাপ হকির টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক মামুনুর রশীদের ঠিকানা থেকে। গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে পাঠানো হয়েছে এই মেইল।

মেইলের সারাংশ—নির্বাচন বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা ঠিক হয়নি। এটাকে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিধিবর্হিভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া স্থগিত হয়ে যাওয়া ২০১৭ সালের ২৭ আগস্টের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটো প্যানেলের কথাও বলা হয়েছে। এশিয়া কাপের পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ক্রীড়া পরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়নি।

অ্যাডহক কমিটিতে অনভিজ্ঞরা সুযোগ পেয়েছেন। ক্রীড়া পরিষদ ও ফেডারেশনের আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মামুনের মেইলের ঠিকানা থেকে পাঠানো হলেও নিচের দিকে একাধিক হকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম আছে।

ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক এই মেইলের একটা কপি পেয়েছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি জেনেছি এরকম একটা মেইল পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে। মামুনের মেইল আইডি থেকে এটা পাঠানো হয়েছে। ও এই কাজ কীভাবে করতে পারলো? অথচ মামুনকে ফেডারেশন এবং আমার নিজের টাকা খরচ করে গত বছর হাই প্রোফাইল কোচিং ট্রেনিংয়ের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। এশিয়া কাপের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাকে।’

এই ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে দাবি করে তার মন্তব্য, ‘খুবই গর্হিত কাজ হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিষদ এই কমিটি গঠন করেছে। তাহলে কীভাবে এটা ঠিক হয়নি, তা বুঝতে পারছি না। যে-ই করে থাকুক, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার মতো কাজ করেছে। মামুনের কাছে আমরা এই মেইলের ব্যাপারে জানতে চাইবো। প্রয়োজনে ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২০১২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া মামুন অবশ্য ই-মেইল পাঠানোর কথা স্বীকার করেননি। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘আমি কেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের কাছে ই-মেইল করতে যাব? আমি কোনও ই-মেইল করিনি। আমি তো ফেডারেশনের কেউ নই। বুঝতে পারছি না, কিছু হলেই আমার নাম কেন সবার আগে আসছে! আমি এসবের মধ্যে নেই। কিছু দিন পর মালয়েশিয়ায় কোচিং কোর্স করাতে যাবো, আমি এখন সেটা নিয়ে ব্যস্ত।’