২০১২ সাল থেকে জাতীয় হকি দলে খেলে আসছেন অসীম গোপ। এর চার বছর আগে ঘরোয়া হকিতে অভিষেক। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিয়মিত লিগ খেলতে পারেননি। ফেডারেশনের ব্যর্থতায় নিয়মিত লিগ হয়নি। বিরতি দিয়ে লিগ হলে আবার পারিশ্রমিক থাকে আগের মতোই। তাই গোলকিপার অসীমের ক্ষোভটা একটু বেশি।
এবার ২০২১ সালের পর প্রিমিয়ার হকি লিগ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দলবদল শুরু। তবে খেলোয়াড়দের বিশেষ করে যারা জাতীয় দলে খেলছেন তাদের পারিশ্রমিক আগের মতোই ৪ থেকে ৬ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শুধু ডিফেন্ডার আশরাফুল ইসলাম সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পাচ্ছেন।
এ নিয়ে অসীমের ক্ষোভ কম নয়। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অনেক দিন পর পর লিগ হয়। কিন্তু আমাদের পারিশ্রমিক সেভাবে বাড়ছে না। এখন আমরা যা পাই তা যদি প্রতি বছর লিগ হলে কিছুটা হলেও মানাতো। এবার ২০২১ সালের পর লিগ হচ্ছে আর পারিশ্রমিক যা পাচ্ছি তা সন্তোষজনক নয়। এই অর্থ দিয়ে হকি খেলা কঠিন।’
এরপরই ফেডারেশনে যারা আছেন তাদের উদ্দেশে এবার উষায় যোগ দেওয়া অসীম বলেছেন, ‘ফেডারেশনের বড় ভাইদের লজ্জা হওয়া উচিত আমাদের পারিশ্রমিক বাড়াতে পারেননি। তাদের উচিত ছিল খেলোয়াড়দের দিকে তাকানো।’
গতবার পুলের কারণে অসীম দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও খেলতে পারেননি। তাই বলেছেন, ‘লিগে এমনও আছে হাজার বিশেক কিংবা আরও কমে খেলতে হচ্ছে। একজন খেলোয়াড় তিন বছর পর লিগ খেলবে কেন তাহলে? তারপর পুল প্রথা তো থাকেই। আসলে আমরা তো অনেকদিন ধরে খেলছি। নতুন যারা আসছে তারা কেন খেলবে? তাদের সামনে ভবিষ্যতটা কী? সব বুঝেই ফেডারেশনে থাকা বড় ভাইদের সচেতন হতে বলছি। শুধু নিজের জন্য নয়। আমরা তো সার্ভিসেস সংস্থায় চাকরি করছি। চলছে। কিন্তু লিগে সেই আগে যা দেখেছি এখনও পারিশ্রমিক তাই দিচ্ছে। যা বেদনাদায়ক। ফুটবল ও ক্রিকেটে এত টাকা খেলোয়াড়রা পেয়ে থাকেন। আমরা কেন সম্মানজনক পারিশ্রমিক পাবো না।’
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও কোচ মাহবুব হারুন বলেছেন, ‘এখনও আর্থিক দিক দিয়ে তখনকার চেয়ে এখনকার সময়ের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক সেভাবে বাড়েনি। আসলে লিগ নিয়মিত হলে কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যরকম উদ্দীপনা থাকতো। সবাই দল গঠনে তৎপর থাকতো। অনিয়মিত হওয়ায় পারিশ্রমিকও সেভাবে বাড়ছে না।’