প্রাতিষ্ঠানিক ডোপ পাপ স্বীকার করলো রাশিয়া

প্রাতিষ্ঠানিক ডোপ পাপ স্বীকার করলো রাশিয়া
ডোপিং কেলেঙ্কারি নিয়ে এই প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তিমূলক কথা বললেন রাশিয়ার ডোপিং বিরোধী সংস্থার এক কর্মকর্তা। তার কথা অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ডোপ পাপে জড়ানো অ্যাথলেটদের বাঁচানোর সত্যতা পাওয়া গেছে।
থলের বিড়াল বোধহয় বের হয়েই গেলো। ডোপিং কেলেঙ্কারি নিয়ে এই প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তিমূলক কথা বললেন রাশিয়ার ডোপিং বিরোধী সংস্থার এক কর্মকর্তা। তার কথা অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ডোপ পাপে জড়ানো অ্যাথলেটদের বাঁচানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ার ডোপ বিরোধী সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আন্না আনতসেলিওভিচ। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ডোপিংয়ের যে অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে আনতসেলিওভিচ বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র দাবি করে বলেছেন, ‘এটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র ছিল।’ তিনি আরও বলেন কীভাবে ওই প্রোগ্রামের আওতায় পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটদের গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক থেকে বাঁচানো হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় প্রায় সহস্রাধিক রাশিয়ান অ্যাথলেটের ডোপিংয়ের বিষয়টি লুকানো হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার ডোপিং কেলেঙ্কারির ওপর তদন্ত করে ডোপিং-বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াডা। এই মাসেই প্রকাশ করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তারা দাবি করে রাশিয়ার অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিকে এক হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অন্তত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বলবর্ধক ওষুধ ব্যবহার এবং বিষয়টি লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে জড়িত ছিলেন।
তদন্ত দলের প্রধান কানাডার আইন বিষয়ক অধ্যাপক রিচার্ড ম্যাকলারেন জানান, বিষয়টি যাতে গোপন থাকে সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একটা কৌশল গড়ে তোলার ব্যাপারে রুশ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মস্কো ড্রাগ পরীক্ষার গবেষণাগার এবং রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা- সকলেই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল।
প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের সচিতে এবং ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের কয়েকজন অ্যাথলেটকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
/এফআইআর/