তিনি বলেছেন, ‘খেলা শুধু একটি জাতির আনন্দ, বিনোদন বা শরীর গঠনের বিষয় নয়। খেলা হলো একটি জাতির পরিচয়। এ দেশের খেলোয়াড়রা যখন পৃথিবীর বিভিন্ন স্টেডিয়ামে জয় পেয়ে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে, তখন নতুন করে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করি। ওরাই বাংলাদেশের দূত।’ মন্ত্রী আরও যোগ করেন, ‘পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চেহারা বদলে যাবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পর পরই জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো শেখ আবু নাসের নামে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বীরেন শিকদার। বাগেরহাট ডিএফএ’র সভাপতি ও পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, এ বছর রাজধানী ঢাকার দুটি ক্লাব সহ বিভিন্ন জেলার ১১টি দল অংশ নিচ্ছে প্রতিযোগিতায়। অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন, রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান স্মৃতি সংসদ, খুলনার শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ সহ কুষ্টিয়া, চুয়াডা্ঙ্গা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, ঝিনাইদাহ, বরিশাল ও স্বাগতিক বাগেরহাট জেলা দল। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলেকে দেওয়া হবে দেড় লাখ টাকা ও রানার্স আপ দল পাবে ১ লাখ টাকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা ও সংরক্ষিত মহিলা এমপি হ্যাপী বড়াল।
উদ্বোধনী খেলায় সাতক্ষীরা জেলা ১-০ গোলে গোপালগঞ্জ আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে পরাজিত করে।
/কেআর/