মায়ামিতে ফেদেরার-নাদালের রোমাঞ্চকর ফাইনাল

মায়ামিতে ফেদেরার-নাদালের রোমাঞ্চকর ফাইনাল১৩ বছর আগে এই মায়ামিতেই দেখা হয়েছিল তাদের প্রথমবার। এরপর কালের পরিক্রমায় ফেদেরার-নাদালের দ্বৈরথ টেনিস বিশ্বের কাছে পরিণত হয়েছে চরম আকাঙ্ক্ষিত লড়াইয়ে। সেই মায়ামিতেই রবিবার আরেকটি রোমাঞ্চকর ফাইনাল নিয়ে হাজির হচ্ছেন টেনিসের দুই কিংবদন্তি।

নাদাল আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন ইতালির ফাবিও ফগনিনিকে ৬-১, ৭-৫ গেমে হারিয়ে। স্প্যানিশ তারকা সহজে ফাইনাল নিশ্চিত করলেও ফেদেরারকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে রীতিমত। কিরগিওজকে ৭-৬ (৯), ৬-৭ (৯), ৭-৬ (৫) গেমে হারিয়েছেন তিনি।

আনপ্রেডিক্টেবল কিরগিওজ অবশ্য হেরে যাওয়ার পরই হতাশায় র‌্যাকেট তিনবার কোর্টে আঘাত করেছিলেন। সঙ্গে পেয়েছিলেন দর্শকদের দুয়ো! আর এমন জয়ের পর তৃপ্তি নিয়েই ফেদেরার বলেছিলেন, ‘এভাবে জয় পাওয়াটা আসলেই দুর্দান্ত কিছু। এটা ভিন্নভাবেও হতে পারতো। বলতে গেলে নড়বড়ে পরিস্থিতি ছিল।’

এই জয়ের পরই ফাইনালে দেখা হবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালের সঙ্গে। সেই দ্বৈরথকে ঘিরে ফেদেরার যে রোমাঞ্চিত তা প্রকাশ করেছেন এভাবেই, ‘আমার বিশাল প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাকে পুরোনো দিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।  

একই কথা অবশ্য বলেছেন ক্লে কোর্টের রাজা নাদালও, ‘আমি ফেদেরারের সঙ্গে খেলতে সত্যি মুখিয়ে আছি। আমার জন্য ফেদেরার অনেক বড় চ্যালেঞ্জের নাম। শুধু আমার জন্যই না মনে হয় সবার জন্যই।’

এর আগে ফেদেরার ২০০৫ ও ২০০৬ সালে শিরোপা জিতেছেন। এরপর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে আর যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ১৮ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই তারকা ৩৫ বছর বয়সেও ফের ক্ষুরধার পারফরম্যান্সে এগিয়ে এলেন সেই মঞ্চে।

এবছর টা যে ফেদেরারের উত্তুঙ্গ পারফরম্যান্সের বছর তা বলে দেয় পরিসংখ্যানই। যেটা ১৮-১। ২০০৬ সালের পর এবারই উড়ন্ত সূচনা হলো এভাবে। যে বছরের ঝুলিতে রয়েছে জানুয়ারির অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং দুই সপ্তাহ আগে ইন্ডিয়ান ওয়েলসের শিরোপা। টানা ১০টি ম্যাচ জেতার ফর্মতো রয়েছেই। এবার হয়তো মায়ামিতেই যোগ হবে আরেকটি শিরোপা!

/এফআইআর/