চলে গেলেন সাফে সোনাজয়ী শুটার হায়দার আলী

হাসপাতালের বিছানায় হায়দার আলীবেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনি জটিলতায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলেন না সাফ গেমসে সোনাজয়ী শুটার হায়দার আলী।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় মারা গেছেন রাজশাহীতে জন্ম নেয়া এই শুটার। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। স্বামীবাগের একটি মসজিদে জানাজার পর সেখানকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। 

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের যে ক’জন শুটার লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে হায়দার আলী অন্যতম। ১৯৯১ সালে কলম্বো সাফ গেমসে পিস্তলের দলীয় ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন তিনি। পরের বছর সাফ শুটিংয়ে ৫০ মিটার পিস্তলেও পেয়েছিলেন সোনা। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যের পর জড়িয়ে পড়েন কোচিংয়ে। শুটিং ফেডারেশনের কোচ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

হায়দার আলীকে হারিয়ে তার সতীর্থ সাফে সোনাজয়ী শুটার সাইফুল আলম রিংকি মর্মাহত। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘হায়দার আলী ভালো শুটার ছিলেন। কোচ হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। তাকে হারিয়ে আমাদের শুটিংয়ের অনেক ক্ষতি হলো।’