সোমবার জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের শেষ দিনে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের চার বিভাগের তিনটিই জিতেছে বিকেএসপি। অন্যটি জিতেছে নাটোর। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ১৮ থেকে ১৯ বছর বিভাগের ২০০ মিটার স্প্রিন্টের পর ১০০ মিটার স্প্রিন্টেও সেরা দিশা সুলতানা। বিকেএসপির এই অ্যাথলেট ১২.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে জেতেন সোনা।
এমন সাফল্যে স্বভাবতই খুশি দিশা, ‘গতবার এই ইভেন্টে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। এবার প্রথম হয়ে ভালো লাগছে। সামনে সিনিয়রদের যে জাতীয় প্রতিযোগিতা আছে, সেখানে অনেক ভালো করার আশা। টাইমিংটা আরও ভালো করার দিকে দৃষ্টি থাকবে।’
এসএ গেমসে পদক জিততে চান এই অ্যাথলেট, ‘অলিম্পিকের স্বপ্ন দেখি না, যদি সিনিয়র আসরে ভালো করতে পারি, তাহলে এসএ গেমসে ভালো করতে পারব। ফেডারেশন যদি আমাদের দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প করায়, তাহলে আমরা আরও ভালো ফল করতে পারব।’
দিনের একমাত্র রেকর্ডটি হয়েছে হাসান মিয়ার মাধ্যমে। ১৮ থেকে ১৯ বছর বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিকেএসপির এই অ্যাথলেট, ভেঙেছেন ২০১৫ সালে বিকেএসপির আশরাফুজ্জামানের গড়া ১০.৭০ সেকেন্ডের রেকর্ড। নতুন রেকর্ড গড়ে হাসান মিয়া বললেন, ‘আরও ভালো টাইমিং হলে ভালো হতো। সামনে সিনিয়রদের আসর আছে, সেখানে ভালো করার ইচ্ছা আছে।’
অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম সুলতান আহমেদ। নাটোরের এই অ্যাথলেট ১৫ থেকে ১৬ বছর বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে চমকে দিয়েছে সবাইকে, সময় নিয়েছে ১১.৪০ সেকেন্ড। সোনা জেতার পর সুলতানের অনুভূতি, ‘বিকেএসপির ছেলেরা যদি পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না- এই জেদ থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। ভালো ফল হয়েছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
একই ইভেন্টে বিকেএসপির রুপা খাতুন ১২.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতেছে সোনা। এ নিয়ে ১৫ থেকে ১৬ বছর বিভাগে তার তিনটি সোনা। প্রথম দিন ২০০ মিটারে প্রথম সোনা এসেছিল তার। সোমবার ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ছাড়াও ৪x১০০ মিটার রিলেতে জিতেছে সোনা। তিনটি সোনা জিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী রুপার প্রতিজ্ঞা,‘ এখন আমি সিনিয়র ইভেন্টে শিরিন আপুর রেকর্ড ভাঙতে চাই।’