জাতীয় দাবায় নেই নিয়াজ-রিফাত

দাবা ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলনবাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, আর রিফাত বিন সাত্তার তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবে এবারের জাতীয় দাবায় দুজনের কেউই অংশ নিচ্ছেন না।

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে ৪৩তম জাতীয় ‘এ’ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, আব্দুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব সহ ১১ জন দাবাড়ু অংশ নিচ্ছেন এই প্রতিযোগিতায়। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ প্রতিযোগিতায় নেই নিয়াজ মোর্শেদ। আর চাকরির ব্যস্ততার কারণে খেলবেন না রিফাত। সোমবার সকালে টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার কথা দাবা ফেডারেশনকে জানিয়েছেন তিনি।

দুই তারকাকে ছাড়াই জমজমাট প্রতিযোগিতা আয়োজনে আশাবাদী ফেডারেশন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে যারা ভালো করবে, তাদের সামনে দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। অনেক চেষ্টা করেও নিয়াজ আর রিফাতকে খেলানো যায়নি। আশা করি, তাদের ছাড়াই এবারের জাতীয় দাবা ভালো হবে।’

দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের কণ্ঠেও একই আশাবাদ, ‘দুজন গ্র্যান্ডমাস্টার নেই, তবু আমার মনে হচ্ছে জাতীয় দাবা দারুণ জমবে। যারা অংশ নিচ্ছেন, তারা সবাই ভালো দাবাড়ু। প্রত্যেকেরই ভালো করার সম্ভাবনা আছে। যদিও গ্র্যান্ডমাস্টারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা একটু বেশিই হয়!’

বাছাই পর্ব পেরিয়ে ১১ জন অংশ নিচ্ছেন এবারের জাতীয় দাবায়। মেয়েদের একমাত্র প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার শামীমা আক্তার লিজা। ২০০১ সালে রানী হামিদের পর প্রথম মহিলা দাবাড়ু হিসেবে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। ভালো পারফর্ম করতে পারলে মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম অর্জনের সুযোগ রয়েছে লিজার সামনে। অন্যদের সামনে আছে আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম অর্জনের সুযোগ।

প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ৫০ হাজার, রানার-আপ ৩০ হাজার আর তৃতীয় হওয়া দাবাড়ু পাবেন ২০ হাজার টাকা।