‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নয়’

দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যানেজার কুয়ংওয়ান চইবিশ্ব আর্চারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার দারুণ আধিপত্য। দুই বছর আগে ব্যাংককে ১৯তম এশিয়ান আর্চারিতে ছয়টি স্বর্ণপদক জিতেছিল তারা, প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠত্বও ছিল দেশটির। গত বছর রিও অলিম্পিকে দক্ষিণ কোরিয়ান তীরন্দাজরা চারটি স্বর্ণ উপহার দিয়েছিলেন দেশকে। ঢাকায় এশিয়ান আর্চারির ২০তম আসরে অংশ নিচ্ছেন অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী তীরন্দাজরা। নিজেদের ইভেন্টের ফাঁকে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, হাসি মুখে কথা বলছেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও আপত্তি নেই।

ঠিক বিপরীত চিত্র উত্তর কোরিয়ান শিবিরে। দেশটির প্রতিযোগীরা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অনাগ্রহী। ইংরেজি না জানার ‘অজুহাতে’ এড়িয়ে চলছেন সাংবাদিকদের। এমনকি নিজেদের মধ্যেও তেমন কথা বলেন না তারা। সারা দুনিয়ায় অনেকটা একঘরে হয়ে থাকা উত্তর কোরিয়ার তীরন্দাজদের ঢাকাতেও একই অবস্থা!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ১৯৪৮ সালে ভাগ হওয়ার পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৈরিতা শুরু। দক্ষিণ কোরিয়া আর্চারি সহ বেশিরভাগ খেলায় এগোলেও উত্তর কোরিয়া ‘চিরশত্রু’র তুলনায় বেশ পিছিয়ে। যে দেশে বিদেশি খেলোয়াড় আর কোচ নিষিদ্ধ, সে দেশের খেলাধুলায় উন্নতি করা কঠিন!

আর্চারিতে দক্ষিণের চেয়ে উত্তর কোরিয়া কেন পিছিয়ে? বাংলা ট্রিবিউনকে দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যানেজার কুয়ংওয়ান চই বললেন, ‘উত্তর কোরিয়ারও আর্চারিতে আগ্রহ আছে। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে না এগোলে সাফল্য আসে না। আমাদের মাঠ, কোচ, আধুনিক সরঞ্জাম আছে, প্র্যাকটিসও নিয়মিত হয়। তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত একটা সিস্টেমের মধ্যে চলে আমাদের আর্চারি।’

দুই কোরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে তার মন্তব্য, ‘তাদের সঙ্গে আমরা মাঝে-মাঝে কথা বলি, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ নয়। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতা আছে, সেটা সবাই জানে। একসময় আমরা এক দেশই ছিলাম, কিন্তু এখন আলাদা। সমস্যাটা রাষ্ট্রীয়। ঢাকায় এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, শুভেচ্ছাও জানিয়েছি।’