সোমবার থেকে একযোগে ৬৪টি জেলায় শুরু হয়েছে জেলা পর্যায়ের বাংলাদেশ যুব গেমস, চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে বিভাগীয় পর্যায়ের যুব গেমস। আর জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে ৯ থেকে ১৭ মার্চ। রবিবার উপজেলা পর্যায়ে মশাল জ্বালিয়ে ও র্যালির মাধ্যমে শুরু হয় এর সূচনা।
তরুণ ক্রীড়াবিদদের এ প্রতিযোগিতার ২১টি ডিসিপ্লিন হলো- ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, কাবাডি, হ্যান্ডবল, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, শুটিং, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশ, কারাতে, তায়কোয়ান্দো, কুস্তি, জুডো, উশু, ভারোত্তোলন, বক্সিং, আর্চারি ও দাবা। সোমবার কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উঠে এলো যুব গেমসের প্রথম দিনের চিত্র।
এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম সর্দার।
অনূর্ধ-১৭ এই যুব গেমসে অ্যাথলেটিকস, ফুটবল ও বক্সিংয়ে ৯টি উপজেলার মোট চারশ’রও বেশি খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী দিনে অ্যাথলেটিকস হয়েছে। এছাড়া ফুটবলে লড়েছে সদর উপজেলা ও চাটখিল উপজেলার দল।
বরিশাল প্রতিনিধি : সোমবার বেলা ১১টায় বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ স্টেডিয়ামে যুব গেমসের উদ্বোধন হয়। জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান উদ্বোধন করেন।
আযোজিত এ প্রতিযোগিতায় ফুটবল, কাবাডি, জুডু, আর্চারি, সাঁতার, অ্যাথলেটিকস ও দাবা মিলিয়ে ৮টি ইভেন্টে জেলার ১০ উপজেলার ১ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেবে।
প্রথম দিনে বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা ফুটবল দল খেলেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি দিয়ে আসরের শুভ সূচনা করা হয়। এতে ভোলা সদর উপজেলা দল ৩৭-৭ পয়েন্টে তজুমদ্দিন উপজেলা দলকে হারায়।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এ আসরে ভোলার সাত উপজেলার পাঁচশ’র বেশি ক্রীড়াবিদ অংশ নেবে।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ যুব গেমস উপলক্ষে গোপালগঞ্জে আনন্দ র্যালি হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনার এ র্যালি হয়।
সোমবার সকালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সামনে থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ওই একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা এস এম ফিরোজুল আহসান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মানিসহ সরকারি কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা অংশ নেন।
সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কিশোরগঞ্জে প্রথম দিনের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। বালক ও বালিকা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বালক-বালিকাদের ৭টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ ও ফারদিয়া আক্তার রাত্রী, ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মেরাজুল ইসলাম ও ফারদিয়া আক্তার রাত্রী, ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে মোরাজুল ইসলাম ও আইভি আক্তার, লং জাম্পে রমজান আলী ও ফেরদৌস আক্তার, হাই জাম্পে নজরুল ইসলাম ও আশা আক্তার, গোলক নিক্ষেপে নাইমুর রহমান আকন্দ হীরা ও আফরিয়া জাহান, চাক্তি নিক্ষেপে মাহমুদুল হক শাওন ও সুমি আক্তার প্রথম স্থান অর্জন করেন।
প্রতিটি ইভেন্টের সেরা এই খেলোয়াড়রা আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুব গেমস্ এর বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাবেন।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে যুব গেমসের সাঁতার এবং ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে। খরমপট্টির সরকারি পুকুরপাড়ে হবে সাঁতার প্রতিযোগিতা। এছাড়া বালক ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে পুরাতন স্টেডিয়ামে এবং বালিকা ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে।