দ্রুততম মানবের রেকর্ড নিয়ে শামীম-মেজবাহর দ্বন্দ্ব!

মোশাররফ হোসেন শামীম ও মেজবাহ আহমেদ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল, টানা সাতবার দ্রুততম মানব হওয়ার রেকর্ড মোশাররফ হোসেন শামীমের। ৪১তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে রবিবার নৌবাহিনীর মেজবাহ আহমেদও সপ্তমবার হলেন দ্রুততম মানব। দেশের সাবেক সেরা স্প্রিন্টারকে স্পর্শ করেছেন তিনি! আসলেই কি তাই? একসময়ের দ্রুততম মানব শামীম সেটা মানতে নারাজ।

মেজবাহর চেয়ে তিনিই এগিয়ে, সেই যুক্তি দেখালেন শামীম। টানা ৭টি স্বর্ণ তিনি পেয়েছেন কেবল জাতীয় অ্যাথলেটিক্স থেকে, একটাই প্রতিযোগিতা তখন ছিল। আর মেজবাহর ১০০ মিটারের স্বর্ণগুলো এসেছে দুটি ভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে- জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে পাঁচটি ও জাতীয় সামারে দুটি। রবিবার সপ্তমবার দ্রুততম মানব হওয়ার পর মেজবাহ জানান, ‘আমার লক্ষ্যই ছিল ১০০ মিটারে টানা সাতবার সেরা হয়ে শামীম ভাইয়ের রেকর্ডটা ছোঁয়ার। আর আটবারের মতো সেরা হয়ে ১০০ মিটার থেকে অবসর নেব। অবসরের আগে এসএ গেমসে দেশকে কিছু দিতে চাই।’ উত্তরসূরির সঙ্গে রেকর্ড ভাগাভাগির খবর শোনার পর শামীম যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই এখনও সেরা।

৭০ দশকের সেরা স্প্রিন্টার শামীম সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, মেজবাহ ঠিক বলেনি। আমি জাতীয় আসরে টানা সাতবার স্বর্ণ জিতেছি। তখন আর কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। বছরে একটি আসর খেলেই জিততে হতো। সুতরাং সেখানে নিজের পরিশ্রম কিংবা সাধনা একটু বেশি ছিল। আর মেজবাহ তো জাতীয় আসরের সঙ্গে সামার পেয়েছে। এখন কেউ যদি বছরে জাতীয় আসরের পাশাপাশি অন্য প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়, তাহলে তো মনে হয় রেকর্ড ধরা উচিত হবে না।’

একসময়ের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শামীম আরও দুইবার জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ জেতার চ্যালেঞ্জ করলেন মেজবাহকে, ‘আমার সাতবারের রেকর্ড কেউ ছুঁতে পারেনি। মেজবাহ সামার আসর মিলিয়ে বলছে। কিন্তু তারটা রেকর্ড হয়নি। হ্যাঁ, এটা ঠিক সে জাতীয় ও সামার মিলিয়ে সাতবার সেরা হয়েছে। তবে রেকর্ড হওয়ার দাবি ঠিক নয়। আমার সমকক্ষ হতে হলে তাকে আরও দুইবার জাতীয় আসরে সেরা হতে হবে। আমি মনে করি, তার সামনে সুযোগ আছে। আমার সময়ে সামার ছিল না। যদি থাকতো, তাহলে আমি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স ও সামার মিলিয়ে ১৪টি সোনা জিততাম।’

পূর্বসূরির সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের ভাগাভাগিতে অটল মেজবাহ, ‘শামীম ভাইয়ের দাবিটা আমি ঠিক মনে করি না। আমি তো জাতীয় ও সামার মিলিয়ে সাতবার সেরা হয়েছি। এটা তো সত্যি। তাদের সময়ে সামার ছিল না, এখানে তো বলার কিছু নেই। শামীম ভাইয়ের রেকর্ড আমি ছুঁতে পেরেছি, এটাই সত্যি।’