দাবাড়ু জিয়ার সাফল্যে অনেকেই অবাক

রানারআপ ট্রফি হাতে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান (সবার বাঁয়ে)। ছবি-সৌজন্য ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৮তম ওপেন আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টারস দাবায় দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। দীর্ঘদিন পর দেশের দাবা অঙ্গনে আন্তর্জাতিক সাফল্য এসেছে। ২৮জন গ্র্যান্ডমাস্টারের লড়াইয়ে জিয়ার এমন সাফল্যে অনেকেই অবাক।

সাড়ে আট পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আজারবাইজানের গ্র্যান্ডমাস্টার নাইদসিচ আরকাইজ। রানারআপ জিয়ার সংগ্রহ আট পয়েন্ট।

২০১২ সালে ভারতের নাগপুরে আন্তর্জাতিক ওপেনে শিরোপা জিতেছিলেন জিয়া। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়ে তিনি অভিভূত। ৪৩ বছর বয়সী দাবাড়ু কলকাতা থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এই প্রতিযোগিতায় রানারআপ হতে পেরেছি। নাইদসিচ আজারবাইজানের তৃতীয় সেরা দাবাড়ু। তার কাছেই সপ্তম রাউন্ডে হেরে যাই। নাইদসিচ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে তিনবার হারিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে হারাতে পারিনি।’

জিয়ার ছেলে তাজওয়ারের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ। ছবি-সৌজন্য জিয়ার পারফরম্যান্স দেখে অবাক হয়েছেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন দাবাড়ু। বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার বললেন, ‘অনেকেই ভাবেনি আমি রানাআপ হতে পারবো, তারা বেশ অবাকই হয়েছে। টুর্নামেন্টে অনেকের রেটিং আমার চেয়ে বেশি ছিল। তবু তাদের হারিয়েছি বা ড্র করেছি। আসলে ৪৩ বছর বয়সে আমার এমন সাফল্য দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছে। সাধারণত এই বয়সে দাবাড়ুরা খেলা ছেড়ে দেয়। আমার কাছে তাই এই সাফল্য অনেক বড়। এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অর্জন।’

খুশি হলেও একটা আক্ষেপ লুকিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি, ‘আমরা খুব বেশি  আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে পারি না, স্পন্সরের অভাবে বিদেশে খেলার সুযোগ পাই না।’

জিয়ার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও সাফল্য পেয়েছে ভারতের রাজধানীতে। দিল্লির স্কুল দাবায় যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েছে সে। ছেলের সাফল্যে জিয়া উচ্ছ্বসিত, ‘তাজওয়ার এখনও অ্যামেচার দাবাড়ু। ভাবতেই পারিনি সে দিল্লিতে এত ভালো করবে।’