উডেন ফ্লোর যেন একখণ্ড ‘কলকাতা’

শহীদ তাজউদ্দীন ইনডোর স্টেডিয়ামের উডেন ফ্লোরে চলছে লড়াই। ছবি-টেবিল টেনিস ফেডারেশনটেবিল টেনিসের লড়াই শুরু হয়েছে বুধবার। সিনিয়র ডিভিশন, প্রথম বিভাগ আর মহিলা লিগ হচ্ছে একসঙ্গে। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দীন ইনডোর স্টেডিয়ামে উঁকি দিলেই পিং-পং বলের শব্দ কানে আসবে। এবারের লিগে ২৫ জন বিদেশি খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। তারা সবাই ভারতীয় আর ২৪ জনই কলকাতার। অন্যজন এসেছেন দিল্লি থেকে। ইনডোর স্টেডিয়ামের উডেন ফ্লোর যেন পরিণত হয়েছে কলকাতায়।

প্রায় প্রতিটি দলেই কলকাতার খেলোয়াড় আছেন। প্রতিটি দল সর্বোচ্চ দুজনের নাম নিবন্ধন করতে পারবে। ভারতীয় র‌্যাংকিংয়ে চার নম্বরে থাকা অর্জুন ঘোষ খেলছেন অরুণিমার হয়ে। শেখ রাসেলে খেলছেন কমনওয়েলথ গেমসে দুটো স্বর্ণপদক জয়ী শুভজিত সাহা। সৌগত সরকারকে নিয়ে এসেছে অ্যাজাক্স।

এবারের লিগে এত বিদেশি খেলোয়াড় দেখে সাবেক তারকা ও বর্তমানে কোচ মোস্তফা বিল্লাহ বললেন, ‘এটা ফেডারেশনের নির্বাচনের মৌসুম। সবার মধ্যেই কাজকর্ম দেখানোর প্রবণতা কাজ করছে। বছরের অন্য সময় সবাই এমন জেগে উঠলে বাংলাদেশের টেবিল টেনিস অনেক এগিয়ে যেতো। কারণ বিদেশিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’

‘নির্বাচনি হাওয়া’য় স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বেড়ে গেছে অনেক। গতবার এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া জাভেদ আহমেদ এবার পাচ্ছেন তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। মানস চৌধুরী আর ইমরান হোসেন হৃদয়ের পারিশ্রমিক তিন লাখ টাকা। ৩০-৪০ হাজার টাকায় গত মৌসুমে খেলা উদীয়মান খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন দেড় লাখ টাকা।

অরুণিমা, শেখ রাসেল, সিসিরন, বাংলাদেশ বিমান, আবাহনী এবার স্থানীয়দের নিয়ে বেশ ভালো দল গড়েছে। দলগুলোর বিদেশি সংগ্রহও ভালো। কোচ মোহাম্মদ আলী বললেন, ‘আমাদের মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি নয়। শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো ভালো খেলোয়াড়দের নিয়েছে, মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড়ও নিয়ে এসেছে। শিরোপা প্রত্যাশী কোনও দল লিগে ষষ্ঠ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’

মেলবোর্ন আর দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী শুভজিত একটা পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশকে। তার কথা, ‘গত ২৫ বছরের কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছে ভারত, কমনওয়েলথ গেমসে ধারাবাহিক সাফল্য আসছে। এখন বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০ জনের মধ্যে পাঁচ-ছয় জন ভারতীয়। বাংলাদেশও  দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা নিলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাল করবে।’