আতশবাজি আর লেজার শোর ঝলকানি

1বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চেহারা বদলে গেছে এখন। হঠাৎ গুলিস্তানের দিকে এলে অবাক হবে যে কেউ। জাতীয় যুব গেমস উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসবেন, তাই ফুটপাত থেকে হকার উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্টেডিয়াম আলোকিত। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে আতশবাজি আর লেজার শোর ঝলকানিতে উদ্বোধন হলো যুব গেমসের।

পাঁচ কোটি টাকার আয়োজন দেখতে দুপুর থেকেই স্টেডিয়াম এলাকায় ভিড়। ঘোষণা অনুযায়ী গ্যালারি উন্মুক্ত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণ দর্শকরা বঞ্চিত হয়েছেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা ছাড়া শুধু খেলোয়াড়রা জমকালো এই আয়োজন দেখতে পেরেছেন।

2উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। এরপর জায়ান্ট স্ক্রিনে যুব গেমসের অডিও ভিজুয়াল দেখানো শেষে ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষায় থাকা ক্রীড়াবিদদের নিয়ে মার্চপাস্ট হয়।

সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় স্টেডিয়ামে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও উদ্বোধন ঘোষণা পর  মশাল প্রজ্বালন করেন কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান।  তিনি যখন মাঠ প্রদক্ষিণ করছিলেন, আকাশ রঙিন হয়েছে আতশবাজিতে। লেজার রশ্মির তালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের উত্তর প্রান্তে জ্বলে ওঠে মশাল, যা জ্বলবে ১৬ মার্চ পর্দা নামা পর্যন্ত।

3ঘন্টা দেড়েকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল গেমসের মাস্কট তেজস্বীর মাঠ প্রদক্ষিণ। গান ও নাচে অংশ নিয়েছেন দেশসেরা গায়ক ও নৃত্যশিল্পীরা। মঞ্চ এবং মাঠে ডিসপ্লেতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে  যুব গেমসের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধ।

উদ্বোধন মঞ্চের কাছে শোভা পেয়েছে পদ্মা সেতুর অবয়ব। পদ্মার বুকে ইস্পাতের তৈরি যে মূল কাঠামো এখন দৃশ্যমান, তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কেবল সেতু নয়, এলইডি বাতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা পদ্মার পানিও দেখা গেছে।  পাশাপাশি মঞ্চের অন্য পাশে ছিল পাল তোলা এক নৌকা। ৪০ ফুট লম্বা এই নৌকায় পাশেই ছোট্ট একটি মঞ্চ। এই মঞ্চেই সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন দেশবরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।

4উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে লেজার শো ও আতশবাজিতে।  প্রায় আট মিনিট ধরে আতশবাজির আলোয় রঙিন হয়ে ওঠে স্টেডিয়ামের আকাশ। দুটি স্থায়ী জায়ান্ট স্ক্রিন ছাড়াও মাঠের মধ্যে অস্থায়ীভাবে তৈরি ছয়টি এলইডি বোর্ডে ভেসে উঠেছে অনুষ্ঠানের চিত্র।