আমিরাতের আর্চার বাবা-ছেলে ঢাকায়

ছেলে সৌদের সঙ্গে বাবা মোহামেদ (ডানে)দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ইসলামিক সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে এবার পদকের জন্য লড়বে বাবা-ছেলে। সেই লক্ষ্যে ঢাকায় এসেছেন আরব আমিরাতের দুই আর্চার।

পাকিস্তান ও জিবুতি শেষ পর্যন্ত অংশ না নেওয়ায় ১৬টি দেশ লড়বে এবার। এই গেমসে এবার ব্যতিক্রমী কিছুর ছাপ রাখছেন মোহামেদ আলব্লোশি ও সৌদ আলব্লোশি। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

আরব আমিরাতে আর্চারি চর্চা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। সরকার থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হলে পুলিশ কর্মকর্তা মোহামেদ আলব্লোশি শখের বশেই খেলতে শুরু করেছিলেন। এক সময় খেলাটা ভালো লাগতে শুরু করে। এরপর বড় ছেলে সৌদও এক বছর পর যোগ দেন তীর ধনুকের নিশানা ভেদের খেলায়। এখন তো পুরো পরিবারই আর্চারিতে মেতে উঠেছে।

এখন বাবা ও ছেলে ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিত খেলছেন মেয়ে ফাতিমা আলব্লোশি, হিন্দ আলব্লোশি ও ছোট ছেলে হামদান আলব্লোশি। তবে বাবা-ছেলে একসঙ্গে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে প্রায় শতাধিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। এরই মধ্যে আলব্লোশি সিনিয়র খেলেছেন মরক্কো, ফ্রান্স, ব্যাংকক, কুয়েত, ডেনমার্কে। আলব্লোশি জুনিয়র খেলেছেন রাশিয়া, থাইল্যান্ড মরক্কোতে।

প্রতিযোগিতার প্রথম দিন রিকার্ভের ২৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সৌদ ৫৮৫ স্কোর করে হয়েছেন ১৬তম। মোহামেদ আলব্লোশির কিছুটা পিছিয়ে; স্কোর ৫০০ করে হয়েছেন ২৩তম।

ছেলের সঙ্গে আরেকটি মঞ্চে উপস্থিত হতে পেরে রোমাঞ্চিত ৪৩ বছরের মোহামেদ আলব্লোশি, ‘আমার বেশ ভালো লাগছে ঢাকায় আসতে পেরে। আর্চারি খেলাটাকে পছন্দ হয়েছে। বেশ উপভোগ করছি।’

ঢাকায় এসে বেশ ভালোই লাগছে ছেলের। কিন্তু যানজট নিয়ে অস্বস্তির কথা জানালেন ১৮ বছর বয়সী সৌদ, ‘ঢাকার যানজট বেশ ভোগাচ্ছে। এছাড়া খেলাটা ভালোই লাগছে। আমি এখন পর্যন্ত কোনও আন্তর্জাতিক পদক জিততে পারিনি। তবে আশাবাদী শিগগিরই জিততে পারব।’

সৌদকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী আরব আমিরাতের কোচ ওসামা এলেগমেজি, ‘সে খুবই প্রতিভাবান আর্চার। অ্যারাবিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে গত কয়েক বছর ভালো স্কোর করেছে। এখানেও আশা করি একটা পদক আনতে পারবে।’

রবিবার একই ইভেন্টে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। রিকার্ভ ইভেন্টে বাংলাদেশের রোমান সানা শীর্ষস্থান পেয়েছেন। আর মেয়েদের মধ্যে রোখসানা আক্তার হয়েছেন সেরা।