বাবা বাংলাদেশ প্রফেশনাল গলফার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএ) অন্যতম পরিচালক মাহমুদুর রহমান চৌধুরী। বড় ছেলে নাফি দুই বছর আগেই প্রফেশনাল গলফার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, যদিও এখন পর্যন্ত তেমনভাবে চেনাতে পারেননি নিজেকে।
তবে তার আড়াই বছরের ছোট মাহি এর মধ্যেই বয়সভিত্তিক গলফে পরিচিতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের স্কলারশিপ নিয়ে মাহি এখন নিজেকে তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন আলাবামা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় গলফ দলে।
বাংলাদেশ ওপেন মাহির জন্য নতুন কোনও কিছু নয়। এর আগেও দুইবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৮ বছরের এই তরুণ। তবে নাফি প্রথমবার এই আসরে খেলতে যাচ্ছেন। আর খেলার সুযোগটাও তিনি পেয়েছেন বলতে গেলে হঠাৎ করেই। নাফি বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন সেই বিস্ময়কর ডাকের কথা, ‘লোকাল পেশাদার গলফারদের মধ্যে সেরা ৪১ জনের এই আসরে খেলার কথা। আমার বিপিজিএ র্যাঙ্কিং ৪৯ হওয়ায় ভেবেছিলাম এখানে খেলার সুযোগ পাব না। তবে কিছু গলফার এখান থেকে সরে দাঁড়ানোয় এশিয়ান ট্যুর আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি সত্যিই খুশি। আর সত্যি ভালো লাগছে আমি আর ভাই একসঙ্গে এই প্রথম কোনও এশিয়ান ট্যুরে খেলব। এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য কার্ড অর্জন করা।’
ভাইয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে লড়াইয়ে নাফিও উচ্ছ্বসিত, ‘একসঙ্গে দুই ভাই খেলব। এমন অনূভুতি অন্যরকম। যদিও এটা ব্যক্তিগত খেলা। চেষ্টা থাকবে ভালো করার।’
বাবা মাহমুদুর রহমানও খুশি দুই ছেলেকে এই আসরে পেয়ে। তার স্বপ্ন দুই ছেলে একসময় দেশের গলফে তারকা হবে।