আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে শুটিং থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কম নয়। আতিক-নিনির পথ ধরে ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন আসিফ হোসেন। বাকী-শাকিল অবশ্য গোল্ড কোস্ট থেকে ‘গোল্ড’ নিয়ে আসতে পারেননি। কিন্তু এয়ার রাইফেল ও পিস্তল ইভেন্টে দুজনের রৌপ্যপদকও কম আনন্দ দেয়নি দেশের মানুষকে।
চার বছর আগে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসেও রুপা পেয়েছিলেন বাকী। তবে এবার তার অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গেমস শুরু হওয়ার ঠিক আগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে বাকীর নাম ওঠে। অন্যদিকে শাকিল অন্য একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে হতাশ করেছিলেন দলকে। তখন কে ভেবেছিল, দুজনেই রুপা জিতে পদক তালিকায় নাম ওঠাবেন বাংলাদেশের!
কমনওয়েলথ গেমসে সাফল্যের পর এখন তাদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। অলিম্পিকে কোনও বাংলাদেশির পদক জয়ের স্বপ্ন তো আকাশ ছোঁয়ার মতোই। বাকী-শাকিল আত্মবিশ্বাসী, ওয়াইল্ড কার্ড নয়, নিজের যোগ্যতায় টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ‘কিছু একটা’ এনে দেবেন দেশকে।
সেই ‘কিছু একটা’ কি কোনও পদকও? বাকীর কণ্ঠে আশাবাদের সুর, ‘আমি টানা দুটি কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতেছি। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখা বেশ কঠিন। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায় আমাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমার সামনে এখন আরও কঠিন স্বপ্ন। অলিম্পিকে কিছু একটা করে দেখাতে চাই। সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়ে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখি টোকিওতে। বর্তমান পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে সেটা অসম্ভব বলেও মনে করি না। আমি চাই দেশের মানুষকে আবারও আনন্দের সাগরে ভাসাতে।’
বাকীর মতো শাকিলও সোনালী অধ্যায় রচনা করতে চান অলিম্পিকে, ‘গোল্ড কোস্টে যে স্কোর করেছি তা অলিম্পিকে লড়াই করার মতো। অলিম্পিকের আগে একাধিক প্রতিযোগিতায় কোটা প্লেস অর্জন করতে পারলে সেরা সাফল্যের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবো। আগামী দুই বছর ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারলে বলা যায় না, অসম্ভবও সম্ভব হতে পারে।’
দুজনকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনছে শুটিং ফেডারেশনও। ইউরোপ থেকে দুজন ‘হাইপ্রোফাইল’ কোচ নিয়ে এসেছে তারা। বাকী-শাকিল বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন তো!
ছবি: মাইনুর ইসলাম মানিক