১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালে টানা দুবার সাফ গেমসের দ্রুততম মানব হয়েছিলেন শাহ আলম। এরপর বিমল চন্দ্র তরফদার, মাহবুব আলম, মাহফিজুর রহমান মিঠুর সৌজন্যে ‘আমার সোনার বাংলা’র মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রতিযোগিতায়। তবে ২০০৬ সালে কলম্বোতে মিঠুর পর অ্যাথলেটিকস থেকে আর কেউ স্বর্ণপদক এনে দিতে পারেননি বাংলাদেশকে। এমনকি ২০১০ সালে ঢাকাতেও না।
আগামী বছরের মার্চে কাঠমান্ডুতে বসবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। নেপালের রাজধানীতে কি অ্যাথলেটিকস থেকে স্বর্ণপদক আসবে?
জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটার সরাসরি উত্তর দিতে পারেননি কর্মকর্তারা। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় কোচ কিতাব আলী বাস্তবতার পথে হাঁটার চেষ্টা করলেন, ‘বাস্ততা হলো, আমাদের পক্ষে স্বর্ণপদক জেতা বেশ কঠিন। আমাদের চেয়ে ভারত আর শ্রীলঙ্কা বেশ এগিয়ে। এসএ গেমসের জন্য তাদের বাজেট অনেক। শুধু শ্রীলঙ্কারই বাজেট ১০০ কোটি টাকা। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতা সম্ভব নয়। দেখা যাক কী হয়! আশা ছেড়ে দিলে তো চলবে না।’
ফেডারেশনের সভাপতি এএসএম আলী কবির বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বর্ণপদক জিততে অনেক অর্থ আর পরিকল্পনা প্রয়োজন। অ্যাথলেটদের অনেক সুবিধা-সুবিধাও দিতে হবে। সাফল্য পেতে আমরা নিজেদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’