তিন ইভেন্ট ঘিরে বাংলাদেশের স্বপ্ন

এশিয়ান গেমস লোগোআগামী ১৮ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা-পালেম্বাংয়ে হবে এশিয়ান গেমস। বাংলাদেশও অংশ নিচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়। ১৪টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিলেও পদকের প্রত্যাশা কমই। শুধু শুটিং, আর্চারি ও কাবাডি ঘিরে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।

সর্বশেষ দুটি আসরে ক্রিকেট ও কাবাডিতে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে গুয়াংজুতে ১৬তম এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে পুরুষ দল স্বর্ণপদক ও মহিলা দল রৌপ্যপদক জিতেছিল। সেবার মহিলা কাবাডি দলের অর্জন ছিল ব্রোঞ্জ। ২০১৪ সালে ক্রিকেটে অবশ্য স্বর্ণপদক আসেনি, ইনচন গেমসে মহিলা দল রৌপ্য ও পুরুষ দল ব্রোঞ্জ পদক জেতে। মহিলা কাবাডি দলের অর্জনও ছিল ব্রোঞ্জ।

এবারের এশিয়াডে ক্রিকেট নেই। শুটিং, কাবাডি ও আর্চারি ঘিরেই তাই প্রত্যাশা। বিওএ’র মহাসচিব শাহেদ রেজা বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এই তিন ডিসিপ্লিন নিয়েই শুনিয়েছেন আশার কথা। তার ভাষায়, ‘এই ইভেন্টগুলোতে আমরা ভালো করতে চাই। আর এখানে অ্যাথলেটরা ভালো পারফরম করবে বলে আশা করছি আমরা। এমনিতে এশিয়ান গেমসে শক্তিধর দেশগুলো অংশ নেয়, সেখানে আমাদের মতো দেশের পদক পাওয়া একটু কঠিনই। তবে আমরা আশা ছাড়ছি না।’

কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্যপদক জয়ী শুটার শাকিল আহমেদের কণ্ঠে লক্ষ্য পূরণের প্রত্যয়, ‘অনুশীলনে ভালো স্কোর হচ্ছে। এশিয়ান গেমসে চীন-ভারতের শুটারদের বিপক্ষে লড়তে হবে। তবে আমি আশাবাদী। অনুশীলনে যা স্কোর হচ্ছে, তা যদি ইন্দোনেশিয়াতে করতে পারি তাহলে পদক আসবেই।’

পুরুষ কাবাডি দল ২০১০ ও ২০১৪ সালে খালি হাতে দেশে ফিরেছিল। এবার তাদের লক্ষ্য ন্যুনতম ব্রোঞ্জ। অধিনায়ক মাসুদ করিমের আশা, ‘আসলে ইরান ও ভারতের মতো দেশের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আমরা পাকিস্তান, কোরিয়ার মতো দেশের সঙ্গে লড়াই করব, (চাইব) অন্তত ব্রোঞ্জ পদকটি যেন নিশ্চিত হয়।’

মহিলা দলের কোচ আব্দুল জলিল গত দুই আসরের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। যদিও তিনি একটু দ্বিধার মধ্যে আছেন, ‘পদক জয়ের আশা আমারও আছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা ছাড়াই ঢাকা ছাড়তে যাচ্ছি। বাকিরা অনেক উন্নতি করেছে। আমরা কোন জায়গায় আছি, সেটা আসলে বুঝতে পারছি না।’

এশিয়াডে ১৪টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের ৮৬ পুরুষ ও ৩১ মহিলা অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে। পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেরই দল থাকছে আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, গলফ, কাবাডি, শুটিং, সাঁতার ও কুস্তিতে। ফুটবল, বাস্কেটবল, বিচ ভলিবল, ব্রিজ, হকি ও রোইংয়ে শুধু পুরুষ দল খেলবে। আর ভারোত্তোলনে লড়বে মহিলা দল।