ক্যাম্পে যোগ দেননি সাঁতারের ‘স্বর্ণ-কন্যা’

গত এসএ গেমসে দুটো সোনা জিতলেও আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান না শীলাদু বছর আগে ভারতের শিলিগুড়ি-গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসের সাঁতারে ‍দুটো সোনা জিতেছিলেন মাহফুজা আক্তার শীলা। স্বাভাবিকভাবে তাকে ঘিরে আগামী বছরের এসএ গেমসেও সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ‘স্বর্ণ-কন্যা’ ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্পে যোগ দেননি এখনও।

ক্ষোভ থেকেই ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসএ গেমসে ১০০ ও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে সোনাজয়ী শীলা। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘ক্যাম্পে যোগ দিয়ে কী হবে? সাঁতার ফেডারেশনের কর্মকর্তারা মনে করেন আমাকে দিয়ে নাকি কিছু হবে না! তাই ক্যাম্পে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দল নৌবাহিনীর মাধ্যমে চিঠি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছি। আগামী বছর কাঠমান্ডু এসএ গেমসে অংশ নেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই আমার। আর জাতীয় দলে নয়, এখন থেকে শুধু নৌবাহিনীর জন্য খেলবো।’

গত বছর আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের পর শীলার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ফেডারেশনের। বাকুতে ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে নিজের সেরা টাইমিং করলেও আর কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।

এ নিয়ে শীলার তীব্র আপত্তি, ‘কমনওয়েলথ গেমস সহ অন্য প্রতিযোগিতায় আমার জায়গায় যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের কী হিসেবে নেওয়া হয়েছিল? তাদের কী যোগ্যতা ছিল? আমি বাকুতে ভালো টাইমিং করেও জাতীয় দলে আর সুযোগ পাইনি। এভাবে বঞ্চিত করা হলে জাতীয় দলের হয়ে কেন খেলবো?’

শীলা ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ায় ফেডারেশন কর্মকর্তারাও বিব্রত। সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া যত দ্রুত সম্ভব দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘আমরা এখনও মনে করি শীলা দেশের অন্যতম সেরা সাঁতারু। নিয়মিত অনুশীলন করলে তার পক্ষে আবারও এসএ গেমসে সোনা জেতা সম্ভব। আমরা শিগগিরই সভায় বসে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করি, দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’