প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিকদের বিএসপিএ’র সম্মাননা

প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীগত ৫০ বছর ধরে ক্রীড়া সাংবাদিকতা ও ক্রীড়া বিষয়ক লেখার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, আব্দুল তৌহিদ, আজম মাহমুদ, এমএ হান্নান খান এবং ইকরামউজ্জামানকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)।

বুধবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মিলনায়তনে সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট এবং উপহার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং ক্রীড়ালেখক কামাল লোহানী। এ সময় তাদের ব্লেজার পরিয়ে দেন বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন।

ক্রীড়ালেখনীর সুবর্ণজয়ন্তী সম্মাননা অনুষ্ঠানে কামাল লোহানী বলেছেন, ‘ক্রীড়া বিষয়ক লেখা নিয়ে জীবনের ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় পার করে দেওয়া যে কোনও বিবেচনায় কৃতিত্বের। বিরলপ্রজ ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়ালেখকদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে বিএসপিএ ধন্য হয়েছে। এমন কীর্তিমানদের সম্মানিত করার মর্যাদা কম নয়।’

কামরুজ্জামান বলেছেন, ‘নিয়তিই আমাকে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় টেনে এনেছে।’ আব্দুল তৌহিদের মন্তব্য, ‘এই সম্মাননা পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ, আমি কৃতার্থ।’ আজম মাহমুদের কথা, ‘আমি ১৯৯৭ সালে এএফসি পুরস্কার পেলেও আজকের এ সম্মাননা আমার কাছে অনেক বড়।’

ইকরামউজ্জামানও এমন সম্মাননা পেয়ে অভিভূত, ‘জন্মলগ্ন থেকে আমি যে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তারাই আজ আমাকে সম্মানিত করলো।’ এমএ হান্নান খানের প্রতিক্রিয়া, ‘দৈবক্রমে ক্রীড়া সাংবাদিকতায় এসে আজ অনন্য সম্মাননা পেয়েছি।’

প্রবীণ সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন বলেছেন, ‘বিএসপিএ এখন অনেক সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে জড়িত। এসব কাজের জন্য আমরা অনেক পরামর্শ পাই, যা আমাদের দারুণ উৎসাহিত করে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিএসপিএ সহ-সভাপতি শেখ সাইফুর রহমান।