কোথায় আছেন সাঁতারের কোরিয়ান কোচ?

পার্ক তে গুনদক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুনের অধীনে সাঁতারে ভালোই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। তার কোচিংয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে এসেছে বেশ কয়েকটি সোনা। এখনও কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেননি, অথচ অনেক দিন ধরে তার সঙ্গে সাঁতার ফেডারেশনের যোগাযোগও নেই!

গত বছরের ২০ অক্টোবর তিন দিনের ছুটি নিয়ে চীনে একটি সেমিনারের অংশ নিতে যান পার্ক। সেমিনার শেষে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি। তার অনুপস্থিতিতেই চলছে জাতীয় দলের সাঁতারুদের অনুশীলন।

অথচ পার্কের কোচিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সাঁতারুরা। তার কারণও আছে। তিনিই প্রথম সাঁতারের আধুনিক পাঠ দিয়েছেন বাংলাদেশে, সাঁতারুদের পরিচয় করিয়েছেন আধুনিক সরঞ্জামের সঙ্গে। হ্যান্ড প্যাডেল, পেস ক্লক আর ড্রোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে অনুশীলন শুরু পার্কের অধীনেই। তার সুফলও পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে ৬টি রুপা, ইন্দো-বাংলা গেমসে ১০টি সোনা এবং ভারতে সর্বশেষ এসএ গেমসে সাঁতার থেকে দুটো সোনা এসেছিল পার্কের কোচিংয়ে।

অথচ সেই কোচই দীর্ঘ দিন রহস্যময়ভাবে ‘নিখোঁজ’। আগামী মাস অর্থাৎ এপ্রিল পর্যন্ত পার্ক চুক্তিবদ্ধ। তবে এখনই তার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে চায় সাঁতার ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘পার্ক তে গুন তিন দিনের ছুটি নিয়ে চীনে যান গত অক্টোবরে। এরপর তার কোনও খবর নেই। কোরিয়ান কোচের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে আমাদের অনেক অভিযোগ। তার সঙ্গে আমরা আর সম্পর্ক রাখতে চাই না। আমরা শিগগিরই সভায় বসে পার্কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।’

পার্ক তে গুনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের সর্বশেষ যোগাযোগ হয় প্রায় তিন মাস আগে। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশে কাজ করবো কীভাবে? ফেডারেশনের কাছ থেকে তো কোনও সহযোগিতাই পাচ্ছি না। আমি ঢাকা ছাড়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ি। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে শিগগিরই ঢাকায় ফিরবো।’

কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি, অনেক চেষ্টা করে তার সঙ্গে আর যোগাযোগও করা যায়নি।