চলে গেলেন ফর্মূলা ওয়ান লিজেন্ড নিকি লাউডা

নিকি লাউডাপৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন ৭০ এর দশকে রেসিং কার জগতে একাই ছড়ি ঘুরানো নিকি লাউডা। সোমবার ৭০ বছর বয়সে মারা গেছেন ফর্মূলা ওয়ানের এই লিজেন্ড।

ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ৮ মাস পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন লাউডা। সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই অস্ট্রিয়ান। এই মাসের শুরুতে ডায়ালাইসিস করাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।

১৯৭৫ ও ১৯৭৭ সালে ফেরারির সঙ্গে এবং ১৯৮৪ সালে ম্যাকলারেনের সঙ্গে এফ ওয়ান ড্রাইভার্স চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা লাউডার দুটি কিডনিই প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে তার ভাই দেন একটি কিডনি। ২০০৫ সালে অন্য কিডনি দান করেন তখনকার বান্ধবী বারগিট ওয়েটজিঙ্গার।

১৯৭৬ সালে জার্মানিতে এক প্রতিযোগিতায় আগুনে পুড়ছিল লাউডার রেসিং কাররেসিং কার জগতের অন্যতম সেরা ড্রাইভারদের কাতারেই থাকবেন লাউডা। ১৯৭৬ সালে জার্মান গ্র্যান্ড প্রিক্সে অংশ নিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। তার গাড়িতে আগুন ধরে গেলে মারাত্মক আহত হন লাউডা। মাথা থেকে গলা পর্যন্ত পুড়ে যায়। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ী লাউডা ফিরে আসেন ৪০ দিন পর, আবারও সেই ট্র্যাকে।

ভিয়েনার শিল্পপতি পরিবারে ১৯৪৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন লাউডা। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ব্যবসায় মন দিবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল পরিবারের। কিন্তু রেসিং ড্রাইভার হওয়ার স্বপ্ন সবার প্রত্যাশাকে বুড়ো আঙুল দেখায়।

১৯৬৮ সালে বাবা-মাকে না বলে দাদীর সহায়তায় একটি মিনি রেসার কিনে প্রথম রেস জিতেছিলেন লাউডা। এর তিন বছর পর অস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সে ফর্মূলা ওয়ানে অভিষেক হয় তার। লিজেন্ডারি এই ক্যারিয়ারে জেমস হান্টের সঙ্গে লাউডারের দ্বৈরথ ঝাঁজ তুলেছিল রেসিং কার জগতে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হয় আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র রাশ।