মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু নিধন অভিযান

ফগার মেশিনে চলছে ডেঙ্গু নিধনসারা দেশে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। ক্রীড়াঙ্গনও এর বাইরে নেই। ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসকে সামনে রেখে ২৩ খেলার ৬৬৬ ক্রীড়াবিদকে নিয়ে চলছে আবাসিক ক্যাম্প। যাদের মধ্যে ৫ খেলোয়াড় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত সবাই ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের আবাসিক ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন করছিলেন। আজ (শনিবার) সেখানেই চলেছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নির্দেশনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে ক্যাম্পে থাকা ক্রীড়াবিদরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ফগার মেশিনে চলছে ডেঙ্গু নিধনমহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বর্তমানে তিনটি ডিসিপ্লিন— বাস্কেটবল, কাবাডি ও খো খো’র খেলোয়াড়রা আছেন। এই তিন ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বাস্কেটবল দলের সহকারী কোচ মালেকা পারভীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আজ (শনিবার) সকাল থেকে ক্রীড়া কমপ্লেক্স জুড়ে মশক নিধন কর্মসূচি চলেছে। এতে করে হয়তো ডেঙ্গু মশার উপদ্রব কমে যাবে। ক্রীড়াবিদরা নির্বিঘ্নে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারবে।’

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওযার আহ্বান তার, ‘এই কর্মসূচি শুধু একদিন চললেই হবে না। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে হবে। এখানকার কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক হয়ে নিয়মিত কমপ্লেক্সের ভেতর-বাইরে অভিযান চালাতে হবে। এমনিতেই আমাদের একাধিক খেলোয়াড় ডেঙ্গু জ্বরে আক্তান্ত। সবার মধ্যে আতঙ্ক ঢুকে পড়েছে, কখন কার কী হয়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হচ্ছে।’

ফগার মেশিনে চলছে ডেঙ্গু নিধনঅলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জান কোহিনূর জানিয়েছেন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এই মশক নিধক কর্মসূচি প্রয়োজন অনুযায়ী চলমান থাকবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম তো আছেই। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি এসএ গেমসের আবাসিক ক্যাম্পগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে।’

ধানমিন্ড ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অসুস্থ হয়ে শুরুতে ৯ নারী ক্রীড়াবিদ হাসপাতালে ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজন  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন কিছুটা সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরে গেছেন। বাকিরা আছেন পর্যবেক্ষণে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও পুলিশ হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন- দুই খো খো খেলোয়াড় আসমা ও জান্নাতুল এবং কাবাডির বৃষ্টি বিশ্বাস।

ফগার মেশিনে চলছে ডেঙ্গু নিধনঅলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মেডিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব ডা: শফিকুর রহমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সবসময় খেলোয়াড়দের ওপর দৃষ্টি রাখছি। শুধু ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের খেলোয়াড়রা আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুজন কিছুটা সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরেছেন। এছাড়া চারজনকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন