আবারও দ্রুততম মানব ইসমাইল, মানবী শিরিন

বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাথলেটিকসের ৪৪তম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে শুক্রবার। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিনেই নির্ধারিত হয়েছে দেশের দ্রততম মানব-মানবী। আগের বারের মতো এবারও দ্রুততম মানব হয়েছেন মোহাম্মদ ইসমাইল ও মানবী শিরিন আক্তার। যারা দুজনেই নৌবাহিনীর অ্যাথলেট।

১০০ মিটার স্প্রিন্টে ছেলেদের মধ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো সেরা হতে ইসমাইল সময় নিয়েছেন ১০.৫৫ সেকেন্ড। সেরা হয়ে এই অ্যাথলেট সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনাকালে অনুশীলন করতে অনেক বাধা ছিল। কিন্তু সন্তুষ্ট হয়েছি এ জন্য যে, দ্রুততম মানবের খেতাবটা ধরে রাখতে পেরেছি। আশা করি, বাংলাদেশ গেমসে টাইমিং কমাতে পারবো।’

আগামীতে এসএ গেমসে পদক জেতার স্বপ্ন দেখছেন ইসমাইল, ‘এই পর্যায়ে এসে বলবো, এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতা সম্ভব। গেমসে আগে যারা জিতেছে, আমি মনে করি তারা আমাদের চেয়ে খুব বেশি ভালো ব্যবধানে দৌড়ায়নি। ওরা বাইরের দেশে দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছে। আমাদের যদি বাইরের দেশে দীর্ঘদিন অনুশীলন করানো হয়, তাহলে আমরাও পারবো।’

দ্রুততম মানব হয়ে টাইমিং নিয়ে হতাশা আছে তার মধ্যে। সে জন্য ট্র্যাককেই দায়ী করলেন তিনি, ‘টাইমিংটা ভালো না হওয়ার জন্য ট্র্যাক দায়ী। এখানে দৌড়ের সময় পুশ করলে রিটার্ন দিচ্ছে না। যে কারণে শক্তিটা চলে যাচ্ছে।’

ইসমাইলের মতো শিরিন আক্তারও সেরা হয়ে খুশি। তার সেরা হতে সময় লেগেছে ১১.৮০ সেকেন্ড। তবে টাইমিং নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে তার মাঝে, ‘আমার কোচ নিশ্চয়ই আরও ভালো টাইমিং আশা করেছিলেন। তবে আমি মোটামুটি খুশি। সামনে বাংলাদেশ গেমস আছে। আশা করি, ওটাতে আরও ভালো টাইমিং করতে পারবো।’

এই নিয়ে ১১বার জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন শিরিন। এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘করোনার সময় ভালো অনুশীলন হয়েছে। আমি নিজে অবশ্য অনুশীলন করেছি সাভারের বিকেএসপিতে। আমার সাফল্যের পেছনে নৌবাহিনীর অবদান অনেক।’

এর পরেই নিজের পরবর্তী লক্ষ্যের কথা বলেছেন শিরিন, ‘আমি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্রুততম মানবী হতে চাই। এজন্য আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’