এবার ঢাকায় খেলবেন বাংলাদেশের বংশোদ্ভুত ইংল্যান্ডের বক্সার

রুকসানা বেগম কিক বক্সিংয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গোটা ব্রিটেন জুড়ে তার খ্যাতি কম নয়। তার জীবনী নিয়ে বইও আছে। লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে উঠা রুকসানার শেকড় আবার বাংলাদেশের সিলেটে। এবার ৩৯ বছর বয়সী বক্সার শেকড়ের টানে এবার খেলতে এসেছেন বাংলাদেশে। আগামীকাল মঙ্গলবার রুকসানা লড়বেন বাংলাদেশের পেশাদার বক্সিং ‘বেক্সিমকো এক্সবিসি ফাইট নাইট’ প্রতিযোগিতায়। এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো দিনব্যাপী হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা।

সিলেটের বালাগঞ্জে রুকসানার বাবার বাড়ি। বাবার হাত ধরে তিন বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। তারপর একাধিকবার এসেছেন বাবার ভিটায়। এবার এলেন ২০ বছর পর।

২০১০ সালে মুয়েই থাইয়ে ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন হন রুকসানা। আর ২০১৬ সালে হন কিক বক্সিংয়ে বিশ্বসেরা। তারও আগে ২০১২ সালে হয়েছিলেন ব্রিটেনে মুসলিম নারী খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছাদূত। একই বছর ব্রিটেনে ১০০ প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকায় ছিল তার নাম। ২০২০ সালে প্রকাশিত তার জীবনী ‘বর্ন ফাইটার’ ব্রিটেনে বেশ সাড়া জাগায়।

২০১৮ সালে পেশাদার বক্সিংয়ে পথচলা শুরু রুকসানার। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলতে আসতে পেরে বেশ রোমাঞ্চিত তিনি, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। আমি লন্ডনে থাকলেও দেশের প্রতি অনেক ভালোবাসা আছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিসেবে এখানে অংশ নিতে পারা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। ইংল্যান্ডের পর এখন বাংলাদেশের এই প্রতিযোগিতায় যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তবে সেটা সত্যি দারুণ হবে।’

আগামীকালকের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের ১৪ জন বক্সার অংশ নিচ্ছেন। সাত ক্যাটাগরিতে লড়বেন বক্সাররা। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ফেদারওয়েট, লাইট হেভিওয়েট, ব্যান্টামওয়েট, ক্রুজারওয়েট, ফ্লাই ওয়েট, লাইটওয়েট ও ওয়েল্টারওয়েট। টুর্নামেন্টের ভেন্যু হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যান্টামওয়েট ক্যাটাগরিতে ছয় রাউন্ডের একটি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।

২০২২ সালের পেশাদার বক্সিংয়ের বিজয়ীরা এবং গত বছরে বাংলাদেশে হওয়া সাউথ এশিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং ফাইট নাইট ‘দ্য আল্টিমেট গ্লোরি’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি বক্সার সুরো কৃষ্ণ চাকমা ও আল আমিন এবারও লড়বেন। এবারই প্রথম এই টুর্নামেন্টে নারী বক্সাররা অংশ নেবেন। বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদনান হারুন বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের নারী বক্সারদের পথ আরও প্রশস্ত হবে।’