চীনে বাংলাদেশের শায়রার সেরা স্কোর

চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের দিনটি ভালো কাটেনি। তবে এর মধ্যে শুটিংয়ে শায়রা খাতুন নিজের সেরা স্কোর করেছেন। অবশ্য পদক জয়ের ধারেকাছে যেতে পারেননি।

নারীদের দশ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত ইভেন্টে ১৫ দলের মধ্যে নবম হয়ছে বাংলাদশে। ব্যক্তিগত ইভন্টেও চূড়ান্ত পর্বে উঠতে পারেননি কেউই। ৫৯ জন শুটারের মধ্যে শায়রা ১৩তম, নাফিসা তাবাসসুম ২৫তম ও কামরুন নাহার কলি ২৭তম হয়েছন।

এরমধ্যে শায়রা তার ক্যারিয়ার সেরা ৬২৮ স্কোর করেন। ক্রীড়া পরিবার থেকে উঠে আসা শায়রার বাবা ছিলেন ক্রিকেটার, মা কারাতেকা। নাফিসার স্কোর ৬২৪ দশমিক ৭ ও কামরুন নাহার কলির স্কোর ৬২৩ দশমিক ৩।

সাঁতারে ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে ২৮ জনের মধ্যে ২১তম হয়েছেন বাংলাদেশের সামিউল ইসলাম রাফি। তিনি সময় নিয়েছেন এক মিনিট দশমিক শূন্য দু্ই সেকেন্ড। চার নম্বর হিটে আটজনের মধ্যে অষ্টম হয়েছেন সামিউল। গত বছর বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে কম সময় নিয়েছেন সামি। সেখানে তার টাইমিং ছিল এক মিনিট ২ দশমিক তিন এক সেকেন্ড।

জিমন্যাস্টিক্সে প্রথম রাউন্ড থেকে বাংলাদেশের দুজন বিদায় নিয়েছেন। পামেল হর্সে সাংখিয়ং খুমি ৯ দশমিক ৫৬৬ স্কোর করেছেন। আর আবু সাঈদ রাফির স্কোর ৪ দশমিক ৬৬। পেনাল্টিতে চার পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয় আবু সাঈদের। ভল্টিংয়ে আবু সাঈদ রাফি ১২ দশমিক ৯৬৬ ও সাংখিয়ং খুমি ১১ দশমিক ৫৩৩ স্কোর করেছেন। রিংয়ে সাংখিয়ং খুমি ৯.৪০০ স্কোর করেন। তবে ইনজুরির কারণে প্যারালাল বারে অংশ নেননি তিনি।

তায়কোয়ানদোতে পুমসের ব্যক্তিগত ইভেন্টের রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিয়েছেন নূরুদ্দিন হোসেন ও রুমা খাতুন। সৌদি আরবের ওয়াহিদ খলিলের বিপক্ষে নূরুদ্দিন করেন ৯০ দশমিক ১ পয়েন্ট। আর ওয়াহিদের স্কোর ১০৩ দশমিক ৪। নারীদের ইভেন্টে রুমা খাতুন ৯৮ দশমিক ৬ স্কোর করেছেন। আর ইরানের মারজান সালাহশৌরি করেছেন ১০৮ দশমিক ৩ স্কোর।

হকিতে প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে ৭-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম কোয়ার্টারে ৪-০ গোলে পিছিয়ে ছিল রোমান, জিমিরা। তৃতীয় কোয়ার্টারে দুটি ও শেষ কোয়ার্টারে আরও এক গোল হজম করে। ২৯ মিনিটে আশরাফুল ইসলাম ও ৪৩ মিনিটে পুস্কার ক্ষিসা মিমো বাংলাদেশের হয়ে দুই গোল শোধ দেন।