আশির দশকে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একের পর এক মেধাবী খেলোয়াড় বেরিয়ে আসতে শুরু করে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনও উপকৃত হতে থাকে। হাসান আল মামুন থেকে শুরু করে সাকিব আল হাসান ও রাসেল মাহমুদ জিমিসহ অসংখ্য তারকা খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছেন।
দেশীয় ক্রীড়াঙ্গনের সূতিকাগার হিসেবে বিকেএসপিকে ধরা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই মানের খেলোয়াড়ের সংখ্যা খানিকটা কমছে। এ নিয়ে আজ বিকেএসপির মহাপরিচালক নানান ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) বিকেএসপি তাদের ২১ ডিসিপ্লিনের ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসেছিল। সভা শেষে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় সরবরাহ কম হওয়ার প্রশ্নে তার বক্তব্য, ‘এই ব্যাপারে বলবো- ইনপুট যেমন আউটপুটও তেমন। যদি আমি বিকেএসপির প্লেয়ার সিলেকশনের সময় আপনার রিকোয়েস্ট শুনে কেউ আমার আত্নীয়, কেউ আমার বাড়ির পেছনে... তাদের নিয়ে যদি আমি ৪০ শতাংশ সিলেকশনটা অনুরোধ নিয়ে আসি। তাহলে আমার কোচদের ৬-৭ বছর হ্যামারিং করেও ওই খেলোয়াড়দের আমি জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনতে পারবো না। যেটা করতে পারবো সেটা হচ্ছে- ভাড়াটে খেলোয়াড়, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ক্ষ্যাপ খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবো।’
বিগত সময়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভর্তির অভিযোগ উঠলেও এখন শতভাগ মেধা ও স্বচ্ছতায় হয়েছে বলে মন্তব্য মহাপরিচালকের, ‘অবশ্যই হয়েছে (স্বজনপ্রীতি), কিন্তু সর্বশেষ যেটা গত ডিসেম্বরে একটা খেলোয়াড়ও রিকোয়েস্টের ছিল না। যে কোয়ালিটিফুল সেই এসেছে (ভর্তি হয়েছে)। ইনশাআল্লাহ এর ফলাফল আগামী তিন চার বছরের মধ্যে পাবো আশা করি।’
সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলে নব উদ্দীপনা দেখে খুশি বিকেএসপির মহাপরিচালক। তার আশা ফুটবল হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।