টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

৫০ বলেই ম্যাচ জয় ইংল্যান্ডের

কুড়ি ওভারের ধুম-ধাড়াক্কা ক্রিকেটে গর্ব করার মতো ব্যাটার রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। পুরো বিশ্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলে বেড়ান দলটির ব্যাটাররা। এমন অভিজ্ঞ ও লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও ইংল্যান্ডের বোলারদের তোপে ৫৫ রানে অলআউট হতে হয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। দুবাইতে সেই রান মাত্র ৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ক্যারিবীয়দের দেওয়া ৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংলিশরা ধীরেসুস্থেই শুরু করেছিল। ২১ রানে ওপেনার জেসন রয় (১১) বিদায় নিতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে থাকে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার।

১৮ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও জয় তুলে নিতে সমস্যা হয়নি ইংল্যান্ডের। জস বাটলারের অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে ৭০ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় তারা। বাটলার ২২ বলে ৩ চারে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। এ ছাড়া ইয়ন মরগান অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে আকিল হোসেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। ছয় বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা রবি রামপার নিয়েছেন একটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবাইয়ের কঠিন উইকেটে সংগ্রাম করেছে। ৮ ব্যাটারের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে ৫৫ রানে অলআউট হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ইংলিশদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ১০ জন ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারেই যেতে পারেননি। বেশিরভাগই আউট হয়েছেন ওভার দ্য টপ খেলতে গিয়ে। মাত্র ১৪.২ ওভারে ৫৫ রান তুলে অলআউট হয় ওরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলই শুধু ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পেরেছেন। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন এই বিস্ফোরক ব্যাটার।   

আদিল রাশিদ ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া মঈন ও মিলস একটি করে উইকেট নিয়েছেন।