নামিবিয়াকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা নামিবিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে নামিবিয়ার ইনিংস ১৪৪ রানেই থেমে যায়। ফলে ৪৫ রানের জয়ে গ্রুপ-২ এর প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাবর আজমের দল। ৪ ম্যাচে ৪ জয়ে পাকিস্তান পূর্ণ ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে।

মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জাহেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৮৯ রান জমা পড়ে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে।

জবাবে খেলতে নেমে ভালোই লড়াই করে নামিবিয়া। যদিও সেই লড়াই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে খেলা ডেভিড উইজে (৪৩)। ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় পাকিস্তানের বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরান এই ব্যাটাররা। এছাড়া ক্রেগ উইলিয়ামস ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ৪০ রানের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া স্টেফান বার্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৯ রান।  শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে নামিবিয়ার ইনিংস থামে ১৪৪ রানে।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রউফ ও শাদাফ খান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এক পাকিস্তানি সমর্থকের উল্লাস

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তানের ব্যাটাররা শুরু থেকেই নামিবিয়ার বোলারদের উপর আক্রমণ চালাতে থাকেন। শুরুতে রিজওয়ান কিছুটা ধীরস্থির খেললেও বাবর আজম আক্রমণাত্মক খেলন। অধিনায়ক বাবর ৪৯ বলে ৭০ রান করেন ৭ বাউন্ডারিতে। রিজওয়ান শুরুতে কিছুটা স্লো ব্যাটিং করলেও শেষের ঝড়ে সব পুষিয়ে দেন। বাবরের পর তার এই ঝড়েই মূলত বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় রিজওয়ান ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ হাফিজও ১৬ বলে খেলেন অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস। এই তিন জনের ব্যাটিংয়ের দিনে আলো ছড়াতে পারেননি কেবল ফখর জামান। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৫ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৮৯ রান। বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

নামিবিয়ার বোলারদের মধ্যে জ্যান ফ্রাইলিংক ও ডেভিড উইজ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।