ইউএস ওপেন থেকে নাদালের বিদায়

 


অচেনা নাদালঅলিম্পিক টেনিসের এককে হতাশ হলেও স্পেনকে সোনা এনে দিয়েছিলেন দ্বৈত থেকে। রাফায়েল নাদাল যেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিতটাও দিয়েছিলেন তাতে। ইউএস ওপেনে তাই নেমেছিলেন প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দারুণ সব জয়ে সেটার প্রমাণও দিয়ে চলেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। কিন্তু ফিরে আসা নাদালের জয়রথ এগোলো না বেশি দূর। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। হেরেছেন তাও আবার র‌্যাংকিংয়ের ২৫ নম্বরে থাকা ২২ বছর বয়সী লুকাস পাউলির বিপক্ষে। পাঁচ সেটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৬-১, ২-৬, ৬-৪, ৩-৬, ৭-৬ (৮-৬) গেমের জয়টা ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন ফরাসি তরুণ। নোভাক জোকোভিচের জয়রথ অবশ্য ছুটছেই, কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন তিনি কাইল এডমুন্ডকে ৬-২, ৬-১, ৬-৪ গেমে উড়িয়ে দিয়ে।

নিজের বানিয়ে ফেলা ফ্রেঞ্চ ওপেনে নামতে পারেননি কব্জির চোটের কারণে। নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন উইম্বলডন থেকেও। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামে ফিরলেও হতাশা নিয়ে বিদায় নিতে হলো নাদালকে। টেনিস ক্যারিয়ারে ২০০৪ সালের পর এটাই প্রথম বছর যেখানে কোন গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারলেননা তিনি। তবু হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না ৩০ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড। ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই জানিয়ে গেলেন ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে পড়ার পর, ‘আবারও নিজের শতভাগ নিয়ে ফিরব। আমি বিশ্বাস করি সামনে আরো কয়েকটি সুন্দর বছর অপেক্ষা করছে আমার জন্য।’

এক ফ্রেঞ্চ ওপেনেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন নয়বার। যদিও গত কয়েকটা বছর খুব একটা ভালো কাটছেন না তার। তাহলে কি নাদালের  যুগের শেষ হয়ে গেল? ১৪ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক অবশ্য তা মানতে রাজি নন, ‘আজও আমি লড়াই করেছি, তবে জেতার জন্য যা দরকার, সেটা আমার সঙ্গে ছিল না। আমি আমার পরিশ্রম চালিয়ে যাব এবং চেষ্টা করব ঘুরে দাঁড়ানোর।’

/কেআর/