ব্রিটিশদের আক্ষেপ দূর করলেন মারে-কন্তা

অ্যান্ডি মারে ও ইয়োহানা কন্তাঘরের কোর্ট, অথচ ব্রিটিশদের বেশিরভাগ থাকতে হয়েছে দর্শক হয়ে। ৩৬ বছরের আক্ষেপ দূর করে ২০১৩ সালে প্রথমবার উইম্বলডনে ব্রিটিশদের পতাকা উড়িয়েছিলেন অ্যান্ডি মারে। দুই বছর পর আবারও অল ইংল্যান্ড ক্লাবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন এই স্কটিশ। এবারের উইম্বলডনে আরেকটি আক্ষেপ দূর হলো, তবে সেটা শুধু তার হাত ধরে নয়। মেয়েদের এককে ইয়োহানা কন্তা শেষ আট নিশ্চিত করাতেই দীর্ঘ ৪৪ বছর পর উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে একসঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটিশ কোনও পুরুষ ও মহিলা।

মেয়েদের এককের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের ক্যারোলিন গার্সিয়াকে ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ১৯৮৪ সালের পর ব্রিটিশ কোনও মহিলা হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন কন্তা। ছেলেদের এককে মারে পেয়েছেন সহজ জয়। সেন্টার কোর্টে ফ্রান্সের বেনোয়িত পাইরেকে হারিয়েছেন তিনি ৭-৬ (৭-১), ৬-৪, ৬-৪ গেমে।

রজার টেলর ও ভার্জিনা ওয়েড শেষবার ব্রিটিশ পুরুষ ও মহিলা হিসেবে একসঙ্গে জায়গা করে নিয়েছিলেন উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে। ৪৪ বছর পর আবার সেই দিন ফিরিয়ে এনেছেন মারে ও কন্তা। কন্তা আবার জো দুরিয়ের পর প্রথম ব্রিটিশ মহিলা হিসেবে শেষ আটে পৌঁছেছেন ৩৩ বছর অপেক্ষার পর।

এই দিনটারই অপেক্ষায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জন্ম নেওয়া ২৬ বছর বয়সী এই তারকা, ‘যখন ছোট ছিলাম, এমনকি এখনও আমি স্বপ্ন দেখতাম এই ধরনের বড় মঞ্চে পারফরম করার। সুযোগটা এবার পেয়ে গেলাম।’ সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই হবে তার দ্বিতীয় বাছাই সিমোনা হালেপের সঙ্গে। যিনি শেষ ষোলোতে বিদায় করে দিয়েছেন ভিক্তোরিয়া আজারেঙ্কাকে। ‘মা’ হিসেবে উইম্বলডনে ইতিহাস লেখার মিশন থেমে গেছে এই বেলারুশিয়ান তারকার ৬-৭ (৩-৭), ২-৬ গেমে হেরে। বিবিসি

/কেআর/