উইম্বলডনে নিষিদ্ধ রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা

গত বছরের শেষটা কেটেছিল তার স্বপ্নের মতো। প্রথম শিরোপা জেতার আনন্দ বলে কথা। নতুন বছরের শুরুতেও ধরা দিচ্ছিল সাফল্য। অস্ট্রেলিয়ান ‍ওপেনে রূপকথার জন্ম দিতে গিয়েও রাফায়েল নাদালের অসাধারণ পারফরম্যান্সে হতাশায় পুড়েছিলেন। দানিল মেদভেদেভের নতুন আশা হয়ে ছিল উইম্বলডন। কিন্তু অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের (এইএলটিসি) ঘোষণায় সব শেষ! এবারের আসরে রাশিয়া ও বেলারুশের সব খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করেছে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। ফলে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লামে খেলা হচ্ছে রাশিয়ান তারকা মেদভেদেভের।

বেশ কয়েকদিন থেকেই গুঞ্জন ছিল, রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন উইম্বলডনে। আজ (বুধবার) রাতে এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। এই হামলায় রাশিয়াকে সাহায্য করায় বেলারুশের খেলোয়াড়দেরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ফিফা থেকে আগেই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে রাশিয়া। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খেলতে পারেনি দেশটি। প্লে-অফে কাতার বিশ্বকাপের আশা বেঁচে থাকলেও সেখানে নামতেই পারেনি তারা। তবে টেনিসের কোনও প্রতিযোগিতা থেকে এবারই এলো প্রথম নিষেধাজ্ঞা। ফলে ছেলেদের র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেদভেদেভেই কেবল ভুক্তভোগী নন, মেয়েদের এককের চার নম্বর খেলোয়াড় বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কাও খেলতে পারছেন না। এছাড়া ১৮ নম্বরে থাকা আরেক বেলারুশিয়ান ভিক্তোরিয়া আজারেঙ্কাও নামতে পারবেন না অল ইংল্যান্ড ক্লাবে।

এইএলটিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই ধরনের অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনের পরিস্থিতিতে, রাশিয়ান কিংবা বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়দের উইম্বলডনে সম্পৃক্ত করে, রাশিয়ান সরকারকে কোনও প্রকার সুবিধা দেওয়া হবে অগ্রহণযোগ্য। এই অবস্থায় আমাদের উদ্দেশ্য হলো, গভীর দুঃখের সঙ্গে রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়দের উইম্বলডনে প্রবেশ রোধ করা।’

দেশ দুটির শুধু খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছে অল ইংল্যান্ড ক্লাব। নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকায় রাশিয়ান কিংবা বেলারুশিয়ান আম্পায়ার, কোচ ও ফিজিওথেরাপিস্ট উইম্বলডনে থাকতে পারবেন।

২৭ জুন শুরু হবে এবারের উইম্বলডন, চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।