রাশিয়ান-বেলারুশিয়ানদের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়’ মনে করেন তারা

এবারের আসরটা রং হারাতে পারে উইম্বলডন। নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের। তাতে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লামে খেলা হবে না রাশিয়ান দানিল মেদভেদেভের। রাজনৈতিক বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নিতে পারছেন না রাফায়েল নাদাল। ২১টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের কাছে পুরো ঘটনাটি মনে হচ্ছে ‘অন্যায়’।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা রাশিয়ানদের নিষিদ্ধ করে যাচ্ছে একের পর এক। তাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত বেলারুশকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে। আগ্রাসনের জন্য নিজেদের সীমান্ত ব্যবহার করতে দেওয়ায় তাদের খেলোয়াড়দেরও শাস্তির আওতায় পড়তে হয়েছে। নাদাল অবশ্য এসব ঘটনায় টেনিস খেলোয়াড়দের দোষ দেখেন না, ‘আমার রাশিয়ান সতীর্থ-সহকর্মীদের বেলায় যা হয়েছে; তা সত্যিই অন্যায়। কারণ এই যুদ্ধটার জন্য ওরা কেউই দোষী নয়।’

নিষেধাজ্ঞায় শুধু মেদভেদেভই নন। খেলার সুযোগ হারাচ্ছেন গত বছরে মেয়েদের ইভেন্টের সেমিফাইনালিস্ট বেলারুশিয়ান আরিনা সাবালেঙ্কাও। অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের এমন ঘোষণার পর তাদের সমালোচনা করেছে এটিপি ও ডাব্লিউটিএ। যারা টেনিসের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।   

মাদ্রিদ ওপেনে এই স্প্যানিশ তারকা খেলোয়াড়দের একজোট হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দেখা যাক কয়েক সপ্তাহে অবস্থাটা কী দাঁড়ায়। যদি খেলোয়াড়রা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি...।’

শুধু নাদালই নন। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নন র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর নোভাক জোকোভিচও। সার্বিয়ান তারকা বলেছেন, রাশিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য এমন পরিস্থিতি অসহনীয়, ‘সত্যিই পরিস্থিতিটা কঠিন ওদের জন্য। আমি বুঝি এখানে হতাশা কাজ করছে। আমার মনে হয়, এটিপি এখানে পরিস্থিতিটা পুরোপুরি পর্যবেক্ষণ করছে। বোঝার চেষ্টা করছে কী করা যায়।’ তার পরেই তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘আমি এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সমর্থন করি না। আমার মনে হয় না এটা ন্যায় হচ্ছে। এখন এটা প্লেয়ার কাউন্সিল বিবেচনা করবে।’