নাদাল-জোকোভিচ দ্বৈরথ: বড় নির্ণায়ক হতে পারে ম্যাচের সময়

ফ্রেঞ্চ ওপেনের বহুল আকাঙ্ক্ষিত দ্বৈরথ হতে যাচ্ছে আজ রাত পৌনে ১টায়। কোয়ার্টার ফাইনালে রেকর্ড ১৩বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল মুখোমুখি হচ্ছেন নোভাক জোকোভিচের। টুর্নামেন্টের অতীত বিবেচনায় নিলে স্বাভাবিকভাবেই নাদাল তাতে ফেভারিট। কিন্তু ম্যাচটা যে সময় গড়াচ্ছে, সেখানে এই স্প্যানিয়ার্ড নিজেও নিজেকে সেই অবস্থানে দেখছেন না! বরং তা স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্বিয়ান জোকোভিচের।

টুর্নামেন্টে এবারের নতুন সংযোজন হচ্ছে রাত্রিকালীন ম্যাচ। তাতে রয়েছে নাদাল-জোকোভিচের ব্লকব্লাস্টার ম্যাচটিও। এমন ১০টি রাত্রিকালীন ম্যাচের পেছনে রয়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও ও ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশন। যার জন্য কোর্টের লাইটিংসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার। আয়োজকরা নিজেদের উদ্দেশ হাসিলের কথা ভাবলেও সেটা মনঃপূত নয় নাদালের। তিনি যে এর ঘোরতর বিরোধী তা তৃতীয় রাউন্ডে জয়ের পর এভাবেই বলেছিলেন, ‘আমি দিনের আলোয় ম্যাচ চেয়েছিলাম। ক্লে কোর্টে রাত্রীকালীন সেশন আমার পছন্দ নয়। বিষয়টা নিয়ে আমি খুব পরিষ্কার।’

নাদালের এমন মন্তব্যের কারণ আছে। ১৩বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী স্প্যানিয়ার্ডকে সব সময় ‍সহায়তা করেছে গ্রীষ্মের গরম কন্ডিশন ও সূর্যের আলো। রাতে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে বল সেভাবে উঁচুতে উঠে না। যা আসলে নাদালের ট্রেডমার্ক গ্রাউন্ডস্ট্রোকগুলোর পথে বড় বাধা! এক কথায় নাদালের উপযোগী ক্লে কোর্ট রাতে চরিত্র বদলে ফেলে। আর এই বিষয়টাই আশান্বিত করছে নোভাক জোকোভিচকে। তাইতো ম্যাচের সময় নিয়ে তার মন্তব্য ছিল ইতিবাচক, ‘আমি এটুকুই বলতে পারি রাফা আর আমি হয়তো একই অনুরোধ করবো না।’

গত বছরের সেমিফাইনালেও দেখা গেছে এমনটা। প্রথম সেটে সার্বিয়ান তারকা ০-৫ গেমে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। চার সেটের লড়াইটা শেষ পর্যন্ত জিতে নেন জোকোভিচ-ই। নাদালের গ্রাউন্ডস্ট্রোকগুলো সেভাবে কার্যকরী ছিল না। অবশ্য ম্যাচটায় পায়ের ইনজুরি নিয়েও খেলছিলেন তিনি।