ম্যাচ বাঁচাতে ইতিহাস গড়তে হবে বাংলাদেশকে

মাহমুদউল্লাহ এখন বাংলাদেশের অন্যতম ভরসাজয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৪৫৯ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে বিরাট কোহলিরা। বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিনশেষ করেছে ৩৫৬ রান পিছিয়ে থেকে। তাদের হাতে আছে ৭ উইকেট।

পঞ্চম ও শেষ দিনে ৯০ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৫৬ রান। যা এক কথায় অসম্ভব। রেকর্ড বুকে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে এতো রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। বাংলাদেশকে জিততে কিংবা ড্র করতে হলে ইতিহাসের পাতা ওলট পালট করতে হবে।

বাংলাদেশ অবশ্য ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে একটি ম্যাচ বাঁচিয়ে ছিল। ওইবার প্রায় দেড়দিন উইকেটে পড়ে থেকে ম্যাচটি ড্র করে বাংলদেশ। চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ৯৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। এরপর পঞ্চম দিনের পুরোটা সময় উইকেটে আঁকড়ে থেকে ১৪২ ওভার ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করলে ম্যাচটি ড্র হয়। সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম ও নাফিস ইকবাল ৮৬ ওভার ব্যাটিং করে ১৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি বাঁচাতে হলে বর্তমানে দলের দুই থেকে তিনজন ব্যাটসম্যানকে ২০০৫ সাল ফিরিয়ে আনতে হবে।

ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার ক্রিজে থেকে রেকর্ডবুকে টিকে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার দিল্লি টেস্টটি। ওই ম্যাচে ১৪৩.১ ওভারের বিপরীতে টিকে থেকে প্রোটিয়ারা করেছিল মাত্র ১৪৩ রান। কিন্তু শেষ বিকেলে হারতে হয়েছিল প্রোটিয়াদের।

চতুর্থ ইনিংসে একশোর উপরে ওভার খেলা ম্যাচ আছে আরও ৬টি। যার একটিতে জেতেনি কেউই। তিনিট ম্যাচে নিউজিল্যান্ড তিনবার ড্র করতে সমর্থ হয়েছে। বাকি একটি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র করলেও ইংল্যান্ড দুই ম্যাচের মধ্যে একটি ড্র ও একটি ম্যাচে হেরেছে।

সোমবার হায়দরাবাদ টেস্টের শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে হার এড়াতে হলে পুরো দিনটায় টিকে থাকতে হবে বাংলাদেশের বাকি ৭ ব্যাটসম্যানকে। অসম্ভব এই কাজটি ঠিক কতটাসুন্দর ভাবে করতে পারবে বাংলাদেশ। এটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

/আরআই/এফএইচএম/