তৃতীয় দিন সকালে সাব্বির রহমানের ঝলকে বাংলাদেশ ছয়শ ছুঁই ছুঁই স্কোরে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বেশ ভালোভাবে সামাল দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল সফরকারী বোলাররা। ২০৫ রানের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের তিনটি উইকেট পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় সেশনটা নিজেদের করে নেয় কিউইরা। তাদের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম শক্ত প্রতিরোধ গড়েন হেনরি নিকলসকে নিয়ে। অবশ্য তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রানে এগিয়ে থাকল।
শনিবার বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। আর তৃতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড করেছে ৩ উইকেটে ২৯২ রান।
তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশ শুরু করে ৭ উইকেটে ৫৪২ রানে। আগের দিনের ১০ রানে অপরাজিত সাব্বির রহমানকে সঙ্গ দিতে নামেন তাসকিন আহমেদ। অভিষেক টেস্টে মাত্র ৩ রান করলেও সাব্বিরকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। তাসকিন ২০টি বল খেলে নেইল ওয়াগনারের চতুর্থ শিকার হন। এরপর কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে নবম উইকেটে ২৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়ার পথে সাব্বির পান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। নিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে ৮৫ বলে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। ব্যক্তিগত রানের খাতায় সাব্বির আরও ৪টি রান যোগ করার পর বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে। ৮৬ বলে সাজানো তার অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসটি।
ওয়াগনার নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। দুটি করে পান ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি।
উদ্বোধনী জুটিটি ল্যাথাম বড় করতে না পারলেও কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ৭৭ রানের শক্ত জুটি গড়েন। অবশেষে এ জুটি ভেঙে তাসকিন পান তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। ৫৩ রানে উইলিয়ামসনকে সাজঘরে পাঠান তিনি। পরে রস টেলরকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ল্যাথাম।
১৬৭ বলে ১২টি চারে শতক ছোঁন ল্যাথাম। ১১৯ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অপর প্রান্তে ৩৫ রানে খেলছেন হেনরি নিকলস।
টাইগারদের নেওয়া তিন উইকেটের দুটি রাব্বির, অন্যটি তাসকিনের।
/এফএইচএম/