৪২.৫ ওভারে টিম সাউদির একটি শর্ট বলকে বাউন্সার ভেবে বসে পড়েন মুশফিক। কিন্তু ১৩৫ কিলোমিটার গতির বলটি বাংলাদেশের অধিনায়কের হেলমেটের পেছনে লাগে। ব্যথা নিয়ে পড়ে যান তিনি। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা একটু ভয়ই পেয়েছিলেন। তামিম ইকবালও মাঠে ছুটে আসেন মুশফিকের খোঁজ নিতে। অ্যাম্বুলেন্স মাঠে ঢুকে পড়ে। কয়েক মিনিটের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মুশফিককে।
পঞ্চম দিন শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর ৫৩ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ভালো প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুশফিক। অথচ চোটের কারণে তার মাঠে নামা সংশয়ে ছিল।
মুশফিকের চোটে বেসিন রিজার্ভের মাঠের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মন খারাপ। দল ভালো অবস্থায় নেই। সাব্বির আর মুশফিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। সেই মুশফিকই হঠাৎ সাউদির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়লেন উইকেটের মধ্যে। ওই সময়ে আমরা গ্যালারিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি একটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। দলের খারাপ অবস্থার মধ্যে মুশফিককে লুটিয়ে পড়তে দেখে ‘অহ নো’ বলে চিৎকার করে ওঠেন জনাব শফিকের মেয়েটি। এরপর সে চোখ বন্ধ করে দেয়।
মিসেস শফিক জানার চেষ্টা করছিলেন মুশফিকের আঘাতটা কোথায়। আঘাতটা তার মাথায়, হেলমেটের পেছন দিয়ে মাথায় লেগেছে, এমন শুনে তার চোখ দুটি ছলছল করে ওঠে।
উল্লেখ্য খেলা দেখতে মুশফিকের স্ত্রী এখন বেসিন রিজার্ভের মাঠেই রয়েছেন।
/এফএইচএম/