নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন মিরাজ

নিউজিল্যান্ডদ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ১৬০ রান। ওয়েলিংটন টেস্ট জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ৫৭ ওভারে ২১৭ রান। এরইমধ্যে উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিত রাভালকে (১৩) ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে পাঠান তিনি। ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। মাঠে আছেন কেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথাম।
যতক্ষণ পারা যায় টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে পঞ্চম ও শেষদিন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ছিল ৩ উইকেটে ৬৬ রান। ১০ রানে অপরাজিত মমিনুল হকের সঙ্গে ব্যাটিং ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হতাশ করেছেন। ৫ বল খেলে রানের খতা না খুলেই মিচেল স্যান্টনারের বলে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।

ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি মমিনুলও। নেইল ওয়াগনারের বলে ২৩ রানে কলিন গ্রান্ডহোমের তালুবন্দী হন এ ব্যাটসম্যান। ওই ধাক্কা সামাল দিতে মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান ভালো প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু টিম সাউদির একটি শর্ট বল মাথায় লেগে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ক্রিজে সময় পার করার ভালো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি ৫৩ বলে ১৩ রান করে।

মুশফিক হাসপাতালে রওনা হলে তাসকিন আহমেদ নামেন। ২৩ বল খেলে ৫ রানে তিনি উইকেট দেন ট্রেন্ট বোল্টকে। প্রথম সেশনে ৭১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয় সেশনে এসে সাব্বির রহমানের টানা হাফসেঞ্চুরি শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আশা জাগায়। কিন্তু টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারালে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৭ বলে ৯ চারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন সাব্বির। কিন্তু আর ৪টি বল খেলে ইনিংস সেরা ৫০ রান করে বোল্টের বলে বিজে ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। আগের ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বী ১ রানে সাউদির শিকার হন। এখানেই শেষ হতে পারত ইনিংস। কিন্তু চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ক্রিজে নামেন ইমরুল কায়েস।

২৮ রানে আগের দিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ইমরুল ব্যক্তিগত রানের ঝুলিতে আরও ৮ রান যোগ করেন। ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপর প্রান্তে শুভাশীষ রায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। কারণ মুশফিকের আর নামা হয়নি। ২১৬ রানে লিড পায় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৫৩৯ রানে।
/এফএইচএম/