ভাগ্যবান মাশরাফি

শততম টেস্টের জয়ের সাক্ষী মাশরাফিমনের মতো করে টেস্ট খেলতে পারেননি মাশরাফি মর্তুজা। তবে বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়কে চোখের সামনে দেখতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

বাংলাদেশের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মাশরাফি টেস্ট খেলছেন ২০০৯ সাল থেকে। ওইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টেই ইনজুরিকে সঙ্গী করে দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এরপর কয়েক দফা সাদা পোশাকে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েও নামা হয়নি সফল এই অধিনায়কের।

সতীর্থরা যখন সাদা পোশাকে খেলতে নামেন, তখন আক্ষেপে পোড়েন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটকে মিস করেন মাশরাফি- এমন কথা বারবারই বলেছেন, আরও একবার বললেন কলম্বোতে। তবে এবার আক্ষেপের চেয়ে জয়ের আনন্দই চোখে মুখে ছিল।

বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রশ্নে মাশরাফির উত্তর, ‘টেস্টের মতো আর কোনও ফরম্যাটই হয় না। ক্রিকেটের আসল খেলা টেস্ট। এখানেই একজন ক্রিকেটারের আসল পরীক্ষা। আমি কখনও ফিরতে পারবে কিনা জানি না। তবে সব সময়ই খারাপ লাগে সাদা পোশাকে মাঠে নামতে পারছি না বলে। কখনও যদি নিজেকের টেস্টের মতো ফিট করে তুলতে পারি। তাহলে অবশ্যই টেস্ট খেলব।’

রবিবার পি সারা ওভালে বাংলাদেশের শততম ম্যাচটি ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছিলেন মাশরাফি। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনের খেলাও দেখেছিলেন মাঠে বসে। রবিবার শততম টেস্ট জয়টা নিজ চোখে  দেখতে পেরে ভাগ্যবান মনে করছেন মাশরাফি, ‘আমরা যারা ওয়ানডে খেলতে এসেছি এবং ড্রেসিংরুমে ঢোকার সুযোগ হয়েছিল, ওদের (মুশফিকরা) অনুভূতিটা কেমন ছিল সেটা দেখতে পেরেছি। আমি বলব যে, আমরা খুব ভাগ্যবান।’

শুক্রবার সন্ধ্যায ওয়ানডে দলের যোগ দিয়েছেন শুভাগত হোম, নুরুল হাসান সোহান, সানজামুল ইসলাম ও মাশরাফি। তারা সবাই শততম টেস্টের জয়টা মাঠে বসে উপভোগ করেছেন। এছাড়া হঠাৎ করেই কলম্বো টেস্ট থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত মাশরাফি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আমি এই টেস্ট জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। শেষ পর্যন্ত শততম টেস্ট আমরা জিততে পেরেছি। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল বড় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের সবাই এমন জয়ে আনন্দিত হয়েছে।’

/আরআই/এফএইচএম/