স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকা তো বাংলাদেশের শততম টেস্টে হারের পর লঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু ঘোষণা করে ফেলেছে। সবমিলিয়ে অস্বস্তিতে থাকছে জয়াসুরিয়ার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি। ‘মাতারা হারিকেন’ মনে করেন অভিজ্ঞতার কারণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশ এখানে এগিয়ে, ‘বাংলাদেশ তিন বিভাগেই ভালো করছে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছে এবং দারুণ মনোভাব রয়েছে। ব্যাটিংয়ে তাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারা ভালো করছে এবং তারা পরিকল্পনা সাজাতে পারছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করছে। এ কারণে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান রান পাচ্ছে। এটাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’
ম্যাচ জিততে গেলে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে বললেন জয়াসুরিয়া। শুধু তাই নয়, গত কিছুদিন ধরে যেভাবে ফিল্ডিং এবং বোলিং করছে শ্রীলঙ্কা, সেখানে থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের মতো আমাদেরকে টপ অর্ডারদের একই কাজ করতে হবে। প্রতিটি দলই চাইবে তাদের শীর্ষ চারের ব্যাটসম্যান রান করুক।’
দুই দলের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোথায় জানতে চাইলে জয়াসুরিয়া বলেছেন, ‘আমরা স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান করতে পারছি না। বাংলাদেশ এটা করতে পারছে। আমরা পারছি না। আমরা যদি স্কোরবোর্ডে রান করতে পারি তাহলে কোনও পার্থক্য থাকবে না। একই সঙ্গে আমাদেরকে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে হবে।’
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। লড়াইয়ে নামার আগে নিশ্চিতভাবে চাপে থাকছে শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে চাপে থাকবেন লঙ্কান এই নির্বাচকও। যদিও তিনি বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন, ‘আমরা চাপ নিয়েই মাঠে নামব। এই মুহূর্তে আমরা পালাবদলের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। আমরা শেষ সাত-আটমাস আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের বের হয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা অবসরে গেছে। তাই এই মুহূর্তে একটু উঠা-নামা হতেই পারে।’
/আরআই/এফএইচএম/